প্রতিবেদন : ছোট্ট থেকেই পশুপাখির ডাক নকল করে শোনানোয় অহর্ষি বিশ্বাসের ছিল নজরকাড়া দক্ষতা। মা মহুয়া সমাদ্দার মুর্শিদাবাদের গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতার কারণে গ্রামবাংলার পাখপাখালির সঙ্গে জন্ম থেকেই ভাব অহর্ষির। পশুপাখির সঙ্গে ভাব বিনিময় করতে চেয়েই বোধহয় নিজের কণ্ঠে তাদের স্বরের প্রকাশ ঘটাতে চাইত সে। সকলেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করতেন গরু-কুকুর-ছাগল-মোষ থেকে কাক-টিয়া-কোকিলের ডাক কত অনায়াসে তার গলায় উঠে আসত।
আরও পড়ুন-অধ্যবসায়ের জোরে ভিক্ষুক থেকে সফল মাছ-ব্যবসায়ী
এই বিশেষ গুণ যে হরবোলা শিল্পীদের থাকে, সেটা তখন জানত না অহর্ষি। মায়ের বদলির সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুর হয়ে কলকাতায় ফেরা। বড় হয়েও থেকে যায় বিশেষ গুণটি। সঙ্গে জোড়ে ট্রেনের আওয়াজ, শঙ্খের আওয়াজ, বাচ্চার কান্নার আওয়াজ থেকে মশা-মাছির আওয়াজও। ২০২১-এ দাদাগিরিতে দশ বছরের অহর্ষির এই কেরামতিতে মুগ্ধ হন বাংলার গর্ব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকা, নানা ধরনের অরিগ্যামি বানানো, আবৃত্তি-সহ হরবোলা-চর্চাও সমান তালে চলছে রিজেন্ট পার্কের ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রটির। এমাসেই মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ২৩টি পশুপাখির ডাক শুনিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলতে সক্ষম হয়েছে যাদবপুর বিজয়গড়ের এই খুদে। পরের লক্ষ্য, এশিয়া বুক অব রেকর্ডস এবং গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নিজের নামের সঙ্গে দেশের তথা বাংলার নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করা।