কৃষি-শিল্পকে এগিয়ে দেবে নতুন কেশবপুর সেতু

বারুইপুর, কল্যাণপুর, মগরাহাট এবং ধামুয়া রেল স্টেশনের সঙ্গেও সাবলীল হবে যোগাযোগ, ফলে যাতায়াত খরচ এবং সময়ও অনেকটাই বাঁচবে

Must read

সংবাদদাতা, বারুইপুর : মঙ্গলবার বারুইপুর পশ্চিমের কেশবপুর গ্রামে শংকরপুর ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সংযোগকারী কংক্রিটের সেতুর উদ্বোধন করলেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সঙ্গে ছিলেন বারুইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কানন দাস ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্র। নবনির্মিত কংক্রিটের সেতুটি এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকার করবে।

আরও পড়ুন-মহেশতলার বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ফরেনসিক দল, ধৃত মালিক, তদন্তের ঘোষণা মন্ত্রীর

সেতু উদ্বোধনের ফলে দৈনিক ১.২৫ লাখ ও বার্ষিক ৪.৫ কোটি টাকার জ্বালানির সাশ্রয় হবে। এই সেতুটি চালু হওয়ায় মগরাহাট ও জয়নগরের সঙ্গে কেশবপুর, দাঁতপুর, বনসুন্দরিয়া, মুলটি, বাণীবেড়িয়া, শংকরপুর, কাঁঠালবেড়িয়া অঞ্চলগুলিকে যোগ করবে। এছাড়াও এই বিস্তৃত এলাকার কৃষকদের কৃষিজমিগুলিকেও এক সূত্রে বাঁধবে। এই অঞ্চল পুরোটাই কৃষিপ্রধান। তাই নবনির্মিত সেতুটি একসঙ্গে কৃষিকাজ ও শিল্পের অগ্রগতিতে বিপুল সহায়তা করবে। বারুইপুর, কল্যাণপুর, মগরাহাট এবং ধামুয়া রেল স্টেশনের সঙ্গেও সাবলীল হবে যোগাযোগ, ফলে যাতায়াত খরচ এবং সময়ও অনেকটাই বাঁচবে।

আরও পড়ুন-কলকাতার প্রথম থিমশিল্পী বন্দন রাহার রহস্যমৃত্যু

সামগ্রিকভাবে বহু সংখ্যক মানুষ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুবিধা পাবেন নতুন এই সেতুর ফলে। প্রসঙ্গত, নতুন এই সেতুর দৈর্ঘ্য ২৭.০৫ মিটার। ৫.৫ মিটার চওড়া, ০.৬ মিটার ফুটপাথ, দু’পাশে সংযোগকারী রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩.৫ মিটার। নির্মাণে সময় লেগেছে ২ বছর। খরচ হয়েছে ৩ কোটি ২১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা।

Latest article