ঝাঁসির হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৫

এই ঘটনায় হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারণ অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার পূরণের তারিখ ছিল ২০১৯ এবং মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০২০ সালে।

Must read

উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকদিনের লড়াই শেষে মৃত্যু হল অসুস্থ আরও ৩ শিশুর (Child death)। এখনও পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। উদ্ধার করে সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করলেও বাঁচানো গেল না শিশুগুলিকে। প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর রাতে হাসপাতালের এনআইসিইউ ওয়ার্ডে ভয়াবহ আগুন লাগে। ওয়ার্ডে সেই সময় ছিল ৪৯টি শিশু। তাদের মধ্যে ৩৯ জনকে উদ্ধার করা গেলেও ঘটনাস্থলে ১০ জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন-তেলঙ্গানার জেলা পরিষদ হাইস্কুলে মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ কমপক্ষে ৫০ পড়ুয়া

উদ্ধার হওয়া শিশুদের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আরও দুজন শিশু গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একজনের ওজন জন্মের সময় ৮০০ গ্রাম ছিল। অন্য শিশুটির হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র রয়েছে। তাই এরকম সঙ্কটজনক অবস্থা থেকে আদৌ তাদের বের করা যাবে কিনা সেই নিয়ে সংশয়ে চিকিৎসকরা। শুক্রবার মেডিক্যাল কলেজের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ফলে মৃত্যু ছাড়াও ১৬ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

আরও পড়ুন-সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের বরাত পেতে ২২০০ কোটি ঘুষ! আমেরিকার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আদানির বিরুদ্ধে

এই ঘটনায় হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কারণ হাসপাতালের অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার পূরণের তারিখ ছিল ২০১৯ এবং মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০২০ সালে। শুধু তাই নয়, বিপদে ওয়ার্ডে আগুন নেভানোর জন্য ছাদ থেকে স্প্রিঙ্কলারের ব্যবস্থা ছিল না। ঘটনার সময় ওই ওয়ার্ডে দু’জন মহিলা চিকিৎসক ছাড়াও ছিলেন ৬ জন নার্স এবং বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী। শিশুদের বাঁচাতে আগুন নেভাতে গিয়ে এক নার্সের কাপড়ে আগুন লাগে এবং তাঁর পায়ের একটা অংশ পুড়ে যায়। সম্পূর্ণভাবে আগুন নেভাতে দু ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। নবজাতকদের ওয়ার্ডের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

Latest article