নয়া রেকর্ড। রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (WB- Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ছাড়াল ২ কোটি। নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর সূত্রের খবর, সদ্য শেষ হওয়া দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে আরও ৯ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এবার তার সঙ্গে আরও ৯ লক্ষ মহিলা যোগ হওয়ায় এই সংখ্যা পেরলো দু কোটি। খুব শীঘ্রই ওই নয়া উপভোক্তাদের প্রকল্পের আওতায় অর্থ সাহায্য দেওয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুজোর মুখে রাজ্যের এই মহিলাদের জন্য এটাই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে দুর্গাপুজোর উপহার হতে চলেছে বলেও জানাচ্ছেন রাজ্যের আধিকারিকরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই বছর দুর্গাপুজোর আগেই বাংলার দেড় কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র আর্থিক অনুদান পাঠানো শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মাত্র দু’বছরেই সেই প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা এবার ২ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (WB- Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের আওতায় এখন বাংলার তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। বাকিরা ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন। বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রে অবশ্য সবাই প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করেই পান। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র আটকে রেখে বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে ‘ক্ষত’ তৈরি করতে চাইলেও, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তাতে কিছুটা প্রলেপ দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন সমাজবিদরা। একই সঙ্গে দেশের মধ্যে মাত্র ১টি রাজ্যে একটি প্রকল্পের উপভোক্তা সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় তা কার্যত এক নয়া রেকর্ড তৈরি করেছে।