শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ গেরুয়া সরকার, মণিপুরে গণতন্ত্রের টুঁটি টিপতে বাড়ল আফস্পার মেয়াদ

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা বা আফস্পা মণিপুরে জারি রয়েছে ১৯৮০ সাল থেকে। কিন্তু সেনাবাহিনীর এই বিশেষ ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ ছিল এতদিন।

Must read

প্রতিবেদন : মণিপুরের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সম্পূর্ণ ছিনিয়ে নিতে আরও নিষ্ঠুর পদক্ষেপ করল বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার। তিন বছরের বেশি সময় ধরে হিংসা সামলাতে ব্যর্থ মণিপুরের প্রশাসন ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর শরণাপন্ন হল। ৬ মাস মেয়াদ বাড়ানো হল আফস্পার। এবার গোটা রাজ্যে আফস্পার বজায় রাখার নির্দেশ জারি হল। সেই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মণিপুরে বিদেশি প্রভাবের তত্ত্ব ওড়ালেন দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। অর্থাৎ এর থেকেই স্পষ্ট মণিপুরের বিজেপি সরকার নিজেদের জনজাতি গোষ্ঠীর মনোভাব বুঝতে ব্যর্থ।

আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা বা আফস্পা মণিপুরে জারি রয়েছে ১৯৮০ সাল থেকে। কিন্তু সেনাবাহিনীর এই বিশেষ ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ ছিল এতদিন। এপর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৯টি থানা এলাকায় আসফা জারির নজির রয়েছে। এবারই বীরেন সিং সরকার গোটা রাজ্যে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে আফস্পা জারির নির্দেশ শোনালেন।
সম্প্রতি সাধারণ মানুষ বিশেষত মহিলারা মণিপুরের রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন কেন্দ্রের দখলদারি হটানোর দাবিতে। এমনকী বিজেপি বিধায়ক রাজকুমার ইমো সিং রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে অমিত শাহকে চিঠি লেখেন। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল মোদির অঙ্গুলিহেলনে রাজ্যের মানুষ এমনকী দলেরও একাংশের মতকে উড়িয়ে দিয়ে আসফার মেয়াদ বাড়িয়ে দিলেন বীরেন সিং।

আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উড়ছে কোটি কোটি টাকা

যদিও মঙ্গলবারই দেশের সেনাপ্রধান মণিপুরে কোনও ধরনের বহিরাগত অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীও এখন এই পাহাড়ি রাজ্যে আলাপ-আলোচনার পথেই হাঁটছে বলে জানান তিনি। অনুপ্রবেশ বা কুকি সম্প্রদায়ের সেনাবাহিনীর উপর হামলা সংক্রান্ত কোনও ধরনের গুজব থেকে বিরত থাকারও বার্তা দেন জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার গোটা দেশের সাহায্য চেয়েছেন।

Latest article