১৩৪টি আসন নিয়ে কলকাতা পুরসভা নিজেদের দখলে করেছে তৃণমূল। মেয়র হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। চেয়ারপার্সন মালা রায়। এর বাইরে প্রত্যাশামতোই দেবাশিস কুমার , দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, রাম পিয়ারি রামেদের মতো অভিজ্ঞ কাউন্সিলররা মেয়র পারিষদ হয়েছেন। নিজেদের পুরনো দপ্তরের দায়িত্ব ফের পেয়েছেন তাঁরা। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন ঘটিয়েছে তৃণমূল। নতুন পুরবোর্ডে চারজন নতুন মেয়র পারিষদ হয়েছেন।
আরও পড়ুন-Mahanta Gyandas: দিদির প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে আশার বার্তা শোনালেন মহন্ত জ্ঞানদাস
এবার নতুন চার মেয়র পারিষদ হলেন ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জীবন সাহা, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ রঞ্জন বক্সি, ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা ও ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, নতুনদের মধ্যে মিতালি মুখোপাধ্যায়
২০১০-১৫ পুরবোর্ডেও মেয়র পারিষদ ছিলেন। অভিজ্ঞতার কারণেই ফের মেয়র পারিষদ পদে ফিরিয়ে আনা হল তাঁকে। বাকি তিনজন মেয়র পারিষদ হিসেবে একেবারেই নতুন। তবে জীবন সাহা বোরো-৭ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আগে সামলেছেন।
আরও পড়ুন-Gangasagar: গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী
বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছেন শামসুজ্জমান আনসারি, রতন দে, মনজর ইকবাল, ইন্দ্রানী সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়। রতনবাবু ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু এবার তাঁর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তাঁর আর ভোটে দাঁড়ানো হয়নি। স্বাভাবিক কারণে বাদ গিয়েছেন তিনি। এছাড়া বাদ গিয়েছেন ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীণ কাউন্সিলর শামসুজ্জমান। উত্তর কলকাতা থেকে নতুন দু’জনকে মেয়র পারিষদ করায় বাদ গিয়েছেন ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রানী ও ৬১নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীণ মনজর ইকবাল।
আরও পড়ুন-দালাল চক্র রুখতে এবার মেয়রের নির্দেশে “ডিজিটাল” কলকাতা
৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উচ্চশিক্ষিত সন্দীপন সাহাকে শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্ততি এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জীবন সাহাকে এবার পুরবোর্ডের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দু’জনই উত্তর কলকাতা থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
অন্যদিকে, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ রঞ্জন বক্সি পেয়েছেন আলো ও বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্ব। সন্দীপবাবু জানান, এমন দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর কৃতজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ওপর যে আস্থা ভরসা রেখেছেন আগামী দিনে সেটা পালন করার চেষ্টা করবেন। এবং কলকাতা তিলোত্তমাকে আরও বেশি করে আলো ঝলমলে করে তুলবেন। সবেমাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন। আগে তিনি এই দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন তার সঙ্গে বসে আগামীদিনের রূপরেখা তৈরি করবেন মেয়র পারিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সি।
৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের অভিজ্ঞ কাউন্সিলর মিতালি বন্দোপাধ্যায়কে সমাজ কল্যাণ ও মহিলা সুরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাঝে একদফায় ছিলেন না। তার আগেও তিনি মেয়র পারিষদের দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন করে ফের দায়িত্ব পাওয়ায় খুশি মিতালীদেবী। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। আগামিদিনে কলকাতার মহিলাদের আরও বেশি বেশি করে স্বনির্ভর করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন।