সংবাদদাতা, রামপুরহাট : হঠাৎ খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল বগটুই। অশান্ত হয়ে উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন এনে বড়শাল পঞ্চায়েতের বগটুই (Bagtui) গ্রামের শ্রী ফিরিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনীবিধির জন্য কাজ আপাতত বন্ধ। তবে তার আগেই অনেক কাজ হয়ে গিয়েছে। ২১ মার্চ বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খুন হওয়ার পর, গ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং গিয়ে অভিযুক্তের শাস্তির ব্যবস্থা করেন। স্বজনহারাদের আর্থিক সাহায্য, চাকরি দেন। বিরোধী দলগুলো ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেও পারেনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন বগটুই মডেলের। পশ্চিমপাড়ার বিদায়ী তৃণমূল সদস্য কদম রসুল শেখ বলেন, রাস্তাঘাট, বড়শালের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, হাইমাস্ট লাইট, জলের বড় ট্যাঙ্ক, পার্ক— প্ল্যান ও এস্টিমেট সম্পূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে মসজিদে মসজিদে কম্পিউটার দিয়ে যান। নির্বাচনের পর ব্যাপক কাজ শুরু হবে। এসবের কারণেই গ্রামের চারটি আসনের দুটিতে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী। কেউ ওই দুটি আসনে দাঁড়াতেই চাননি। বাকি দুটি আসনে লড়াই হবে। বড়শাল পঞ্চায়েতে ১৬টি সংসদ। বেড়ে ১৭ হয়েছে। তার মধ্যে বগটুই (Bagtui) গ্রামে তিনটি সংসদের মধ্যে পূর্বপাড়ায় একটি, উত্তর-পশ্চিমে একটি এবং পশ্চিমে দুটি আসন।
রামপুরহাট এক ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, দিদি বিজেপির মতো ভাষণবাজি করেন না। উন্নয়নের অস্ত্রে গ্রামের শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। তাই তো দুটো আসনে বিরোধীরা প্রার্থীই জোগাড় করতে পারেনি।
আরও পড়ুন- ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের তিন ক্ষেত্রেই দলের প্রার্থীদের জেতানোর আবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়