প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে কিন্তু রাজ্যের ৭০ হাজার বুথে প্রার্থী কোথায়! কারা হবে প্রার্থী? গ্রাম-বাংলায় যত বুথ আছে তার কুড়ি শতাংশ বাদ দিলে বাকি ৮০ শতাংশ জায়গায় প্রার্থী তো অনেক দূর, কোনও বুথ কমিটিই নেই! এখন উপায়? মামলা করা যাক। তাই মরিয়া-দৌড় আদালতে। বিজেপি এর বেশি আর কীই-বা করতে পারত! আর কংগ্রেস? বিজেপির পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও আদালতের দ্বারস্থ। হুজুর বাঁচান! পঞ্চায়েত নির্বাচনে গো-হারা হার নিশ্চিত বুঝেই ভোট পিছোতে এক হয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস। এর আগে ২০২১-এ সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে শূন্য পাওয়া বঙ্গ-কংগ্রেস এখানে বিজেপির সঙ্গে মিলে ঘোঁট পাকাচ্ছে। তাই এই মরিয়া-দৌড়। বিজেপি-কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে সবরকম অপচেষ্টাই চালাচ্ছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন-বাংলা জুড়ে ভোট প্রস্তুতি
ভোট ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে অশান্তি বাধাতে মরিয়া বিজেপি। যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখিয়ে কোর্টে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করা যায়। বিরোধীদের পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নাকে-কান্নার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ একটি ট্যুইটে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, কবে কোথায় সর্বদল বৈঠক করে ভোট ঠিক হয়েছে? বিধানসভায় করোনাকালে আট দফা, কোন বৈঠক হয়েছিল? বিরোধীদের প্রার্থী নেই, সংগঠন নেই— আছে শুধু মিডিয়া আর সোশাল মিডিয়া, তাতেই শোকসভা। নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। তাঁর সংযোজন, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই এটা যেন মামার বাড়ির আবদার। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা আইন হতে পারে না। যদি এ-রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করতে হয়, তবে দেশে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন অর্থাৎ পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমেই করতে হবে। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সরকারি আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করেন।