রায়েও আর্থিক ক্ষতিপূরণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসার কথা স্মরণ করাল দল

চরম কুৎসা করা হয়েছিল অথচ গোটা দেশজুড়ে এই ধরনের ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন: শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সোমবার আরজি কর মামলার রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, নির্যাতিতা যেহেতু সরকারি হাসপাতালের পড়ুয়া ছিলেন এবং সেখানেই ওই ঘটনা ঘটেছে তাই তাঁর বাবা-মাকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা-মা সেই ক্ষতিপূরণ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ৯ অগাস্ট যখন খুন, ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে সেসময় আইন মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথাও বলেছিলেন। কিন্তু সেসময় তাঁর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই নোংরা রাজনীতি করেছিল সিপিএম ও বিজেপি। চরম কুৎসা করা হয়েছিল অথচ গোটা দেশজুড়ে এই ধরনের ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের টালবাহানায় নামছে না বড় বিমান

কিন্তু আরজি করের ঘটনার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এবং তাঁকে হেয় করার জন্য যা খুশি তাই বলা হয়েছিল। সোমবার এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিরোধীদের ধুয়ে দিয়েছেন। সেদিনের কুৎসার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় পরিবারকে কতটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। এই ঘটনার পর নির্যাতিতার সহকর্মীর তরফে রাজ্যকে লেখা চিঠিতেও ক্ষতিপূরণের উল্লেখ ছিল। কিন্তু সেখানে ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ নিয়ে অকারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে টার্গেট করে চরম কুৎসা করেন চিকিৎসকদের একাংশ এবং বিরোধীরা। কিন্তু সেই কথাই কোর্টও বলল। অর্থাৎ এটা আইনেই বলা রয়েছে। তাহলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন বলা হয়েছিল যে রাজ্য সরকার টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চাইছে। কত বড় মিথ্যা কথা! সরকার কারও মুখ বন্ধ করতে যায়নি। তাঁর সংযোজন, এরাই বলেছিল দিতে হবে, আবার এরাই বলছে ক্ষতিপূরণ নেব না। একটা জীবন চলে গেলে সেটা টাকা দিয়ে মাপা যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আইনে ক্ষতিপূরণের উল্লেখ রয়েছে। সেটা নিয়েও নোংরা রাজনীতি করেছেন তথাকথিত বিপ্লবীরা।

Latest article