প্রতিবেদন : দলীয় শৃঙ্খলা না মানলে দল রেয়াত করবে না। তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন। দল পদ দেয় মানুষের কাজ করার জন্য। যে কাজ করবে না সে থাকবে না। শনিবার রানাঘাটের মিলন মন্দির ময়দানের জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের স্পষ্ট বার্তা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC Leader Abhishek Banerjee)। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, তৃণমূল কংগ্রেস করলে ঠিকাদারি করা যাবে না। যে করবে দলে তার কোনও জায়গা নেই। এমনকী কোনও নেতা যদি নিজের স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে নিজেকে আড়াল করেন তা-ও চলবে না। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শনিবার যত না বিরোধী রাজনৈতিক দলকে আক্রমণ করেছেন এদিন তার থেকে বেশি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের শৃঙ্খলার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, অনেকেই হয়তো ভাবছেন, রানাঘাটে এসে বিজেপি নিয়ে কিছু বলছি না কেন? নিজেই তার উত্তরে বললেন, বিজেপিকে আমরা মাঠে-ময়দানে দেখে নেব। কিন্তু সবার আগে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারটাকে ঠিক রাখতে হবে। এদিন আবারও অভিষেকের স্পষ্ট নির্দেশ, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। দলের নির্দেশ অমান্য করে কেউ গাজোয়ারি করে ভোট করতে গেলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আর প্রশাসনও পদক্ষেপ করবে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় কারা দলে থেকেও বেইমানি করেছে, কারা পাঁচিলে উঠে বসেছিল— সব তথ্যই আমার কাছে আছে। ফলে যারা দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে বা করবে তাদের কাউকেই বরদাস্ত করা হবে না। হুঁশিয়ারি অভিষেকের। এখন থেকেই প্রতি সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবার রোজ গ্রামে যাবেন পঞ্চায়েত-পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান, সদস্য ও অন্যান্য পদাধিকারীরা। গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনবেন। কারা যাচ্ছেন, কারা যাচ্ছেন না আমি তার খবর পেয়ে যাব। ফলে কেউ এটা ভাববেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করতে এসেছে, করে চলে যাবে আর কোনও খবর পাবে না। মনে রাখবেন দলের কে কোথায় কী করছেন তার প্রতিটা খবর আমার কাছে পৌঁছয়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এই রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার ১৮৭টি পঞ্চায়েতই জেতার টার্গেট বেঁধে দেন অভিষেক (TMC Leader Abhishek Banerjee)। তাঁর কথায়, ২০০৮ সালে বাম জমানায় প্রবল সন্ত্রাসের মধ্যেও পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ৭০টি পঞ্চায়েতের আসন আমরা পেয়েছিলাম। আর এখন ১৮৭টা আমরা পাব না? এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়ুন। নির্দেশ অভিষেকের। জেলায় বিজেপির মদতে যে খুন-জখম হয়েছে তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এখানে কোনও খুন হয়নি। ২০১৭-র পর থেকে হয়েছে। এরপরেই জেলা প্রশাসনকে তাঁর বার্তা, ভবিষ্যতে এই জেলায় যেন একটাও খুনের ঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন-শাহের সেন্সর বিরোধী নেতাকে