প্রতিবেদন : কোথায়, কখন, কীভাবে আছড়ে পড়বে এখনও স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না কিছুই। তবুও আশঙ্কা বাড়ছেই। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর সেভাবে কিছু না জানালেও বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন তৈরির প্রমাদ গুনছেন বঙ্গবাসী। বাংলাদেশ প্রশাসনও এই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি নিয়ে মৌসম ভবন সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। কোনও পূর্বাভাস দেয়নি এখনও। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, প্রায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। বিভিন্ন রাজ্যে জারি করা হয়েছে অতিবৃষ্টির সতর্কতা। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অনিশ্চয়তায় কালীপুজো এবং দীপাবলির বাজার। ১৭ অক্টোবরের আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন-ট্রেকিং করতে যাওয়া নিখোঁজ সৌরভের মৃতদেহ মিলল
গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে গরম এবং অস্বস্তি বাড়ছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে আবহাওয়ার খানিকটা হলেও বদল হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঝেঁপে বৃষ্টি এসেছে কলকাতা-হাওড়ায়। দুপুরেও আকাশ-কাঁপানো বজ্রবিদ্যু্তের সঙ্গী হয়েছে বৃষ্টি। কিন্তু তারপরেই আবার কড়া রোদের হাত ধরে ভ্যাপসা গরম। হাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণ- পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রত্যাবর্তন শুরু হয়ে গেছে৷ যার জেরে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে উত্তরের পরিস্থিতি উন্নতির মুখে। উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, পুদুচেরী এবং কর্নাটকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে৷