ঘূ্র্ণিঝড় মোকা শক্তি সঞ্চয় করে আগামী ১৪ ও ১৫ মে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে মোকা আছড়ে পড়বে বলে মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথের পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে সুন্দরবন উপকূলে এর আঁচ পড়তে পারে। হতে পারে ১২ তারিখ থেকে সুন্দরবন উপকূলে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত। বুধ ও বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা বাড়বে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সতর্কতা হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সুন্দরবনের উপকূল থানা থেকে মাইকে প্রচার শুরু হয়। সকাল থেকে কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার তরফে এলাকার মানুষকে সাবধান করতে চলে মাইকে প্রচার। নামখানা ব্লক প্রশাসনের পক্ষে বিকেলে বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জ সমুদ্রতটেও মাইকিং করে সতকর্তা করা হয়। দমকলের তরফেও চলছে মাইক প্রচার। পাশাপাশি থানার ওসি মানিক সমাজদার মুড়িগঙ্গা নদী-তীরবর্তী গ্রামে গিয়ে মানুষদের আগামী কয়েকদিন সতর্ক থাকতে বলেন। প্রয়োজন হলে নিকটবর্তী ফ্লাড শেল্টারে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের অফিসে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা কাকদ্বীপ ও সাগরে মহড়া দিয়েছেন। সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষে ইতিমধ্যে শুকনো খাবার, তার্পোলিন মজুত করা হয়েছে। সুন্দরবনের দুটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঘোড়ামারা ও মৌসুনির ওপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।