সুদেষ্ণা ঘোষাল দিল্লি: বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে ভাইপোকে উচিত শিক্ষা দিতে চান মহারাষ্ট্রের প্রবীণ রাজনীতিক শারদ পাওয়ার। যে ভাইপোর জন্য নিজের দল ভেঙে টুকরো হয়েছে তাঁর বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দিতে রাজ্য বিধানসভা ভোটকেই হাতিয়ার করেছেন ইন্ডিয়া শিবিরের এই নেতা। আর এই লক্ষ্যে ভাইপো অজিতের বিরুদ্ধে এবার নাতিকেই প্রার্থী করলেন কাকা শারদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের বারামতীতে এবার পাওয়ার-প্লে দেখা যাবে, যা শারদ ও অজিত দুই পাওয়ারের কাছেই কার্যত সম্মানরক্ষার লড়াই। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধানসভা আসনে বিক্ষুদ্ধ এনসিপি নেতা ও ভাইপো অজিত পাওয়ারকে বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ‘কাকা’ শারদ পাওয়ার৷ অজিতের জেতার রাস্তায় কাঁকর বিছিয়ে মাত্র কিছুদিন আগেই বস্টনের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরা নাতি যুগেন্দ্রকেই রাতারাতি বিধানসভা ভোটের প্রার্থী করে ফেলেছেন প্রভাবশালী শারদ পাওয়ার৷ রাজনীতিতে পুরোপুরি নবীন হলেও পারিবারিক কোন্দলে ভাইপো অজিতের বিরুদ্ধে সেরা বাজি হতে পারেন যুগেন্দ্র। এই অঙ্ক মাথায় রেখেই কাকা শারদের এই চাল। তাতে নিঃসন্দেহে বিপাকে মহারাষ্ট্রের শাসক শিবির ‘মহাজুটি’৷
আরও পড়ুন-পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা সরানো শুরু করে দিল ভারত ও চিন
উল্লেখ্য, ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বারামতী কেন্দ্রটি বরাবরই এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের নিজের গড় হিসেবে পরিচিত৷ অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রাও এই আসন থেকে পরাজিত হয়েছিলেন শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলের কাছে৷ এই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার অন্য কোনও প্রার্থীকে ভোটে না লড়িয়ে নিজেই প্রার্থী হয়েছেন অজিত পাওয়ার৷ নিজের গড়ে লড়াইটা এক্ষেত্রে পাওয়ার পরিবারের অভ্যন্তরীণ অঙ্কেই হবে। অজিতের জয়ের সম্ভাবনায় প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন মারাঠা রাজনীতির ‘চাণক্য’ শারদ পাওয়ার, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ৷ এই পরিস্থিতিতেই তাঁদের দাবি, মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে বারামতীতে যুগেন্দ্র বনাম অজিত পাওয়ার নয়, পাওয়ার প্লে-তে আসল লড়াই হবে কাকা ও ভাইপোরই৷ শেষ হাসি হাসবেন কে? অপেক্ষা ২৩ নভেম্বর ভোটের ফল ঘোষণার৷