ধর্ষণে বাধা, লাথি মেরে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হল গর্ভবতীকে

গুরুতর প্রশ্নের মুখে যাত্রীদের নিরাপত্তা। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মেরে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিল দুস্কৃতীরা।

Must read

প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর ঘটনা তামিলনাড়ুর চলন্ত ট্রেনে। গুরুতর প্রশ্নের মুখে যাত্রীদের নিরাপত্তা। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মেরে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিল দুস্কৃতীরা। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন গুরুতর জখম ওই মহিলা। ঠিক কী ঘটেছিল চলন্ত ট্রেনে? প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর ওই গর্ভবতী মহিলা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে কোয়েম্বাটুর থেকে অন্ধ্রের চিত্তর যাচ্ছিলেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে। শৌচাগারে যাওয়ার জন্য সিট ছেড়ে উঠতেই তাঁকে উত্যক্ত করতে শুরু করে কিছু দুষ্কৃতী৷ কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপরে। মেঝেতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাঁচতে চিৎকার শুরু করেন আক্রান্ত মহিলা৷ তারপরই তাঁর সঙ্গে ঘটে যায় মর্মান্তিক সেই ঘটনা৷ ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাদের মধ্যে একজনের নাম হেমরাজ ৷

আরও পড়ুন-বিচারবিভাগের শূন্যপদের হিসাব দাবি

জখম মহিলাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কেভি কুপ্পম হাসপাতালে নিয়ে যান৷ তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ভেলোরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে রেফার করা হয় ৷ পড়ে গিয়ে ওই গর্ভবতী মহিলার হাত ও পা ভেঙেছে। চোট লেগেছে মাথাতেও। গর্ভবতী হওয়ার কারণে তাঁকে অত্যন্ত গুরুতরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ পাশারাশি কেভি কুপ্পম পুলিশকে খবর দেওয়া হয়৷
আরপিএফ সূত্রে খবর, ভোর ৬টা ৪০ নাগাদ একটি অসংরক্ষিত টিকিট নিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেনের মহিলা কোচেই চেপে বসেছিল হেমরাজ। ওই কোচে বসেছিলেন আরও সাতজন মহিলা। ট্রেনটি সকাল ১০টা ১৫ নাগাদ জোলারপেট্টাই স্টেশনে পৌঁছলে অনান্য সব মহিলারা নেমে যান। কিছুক্ষণ পরে অভিযুক্ত ওই গর্ভবতী মহিলাকে দেখতে পেয়ে তাঁকে ক্রমাগত উত্যক্ত করতে থাকে। শৌচাগারে যাওয়ার সময় ওই মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। মহিলা বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। রাগে মহিলাকে লাথি মেরে যুবক চলন্ত ট্রেন থেকে বাইরে ফেলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, হেমরাজ একা নয়, তাকে সঙ্গ দিয়েছিল আরও কয়েকজন। জোলারপেত্তাই স্টেশন থেকে অভিযুক্তরা মহিলাদের বগিতে ওঠে ৷ কেভি কুপ্পম পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ যৌথভাবে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে৷ আরও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ট্রেন এবং রেল স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
কাডপাডি জি আর পি জানিয়েছে, সোমরাজের বিরুদ্ধে এর আগে মোবাইল ফোন চুরি, ট্রেন যাত্রীদের যৌন হয়রানির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷

Latest article