বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : কেন্দ্রীয় সরকারের লাগামছাড়া দামবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে জ্বালানি, সব কিছুর দাম আকাশ ছুঁতে চলেছে। এবার পটাশের দামও প্রায় আড়াই গুণ বাড়িয়ে দেওয়ায় (Price Hike) চা-শিল্প ঘোর সঙ্কটের মুখে। গত বছরে যে পটাশ ১৭ হাজার টাকা মেট্রিক টন ছিল, তা বর্তমানে বাজারে ৪০ হাজার টাকা মেট্রিক টন হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর জোগানও কম। তাই বাজারে বাড়তি দাম দিয়েও মিলছে না পটাশ। বসন্তের শেষ লগ্নে উত্তরে চা-বলয়ে কয়েকদিনের বৃষ্টি খুশির খবর বয়ে নিয়ে এসেছে। এই বৃষ্টির জেরে ফার্স্ট ফ্ল্যাশ চা খুব ভাল উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেকেন্ড ফ্লাশে চা-গাছের স্বাস্থ্যরক্ষায় দরকার প্রচুর পরিমাণে পটাশ। কিন্তু তা বাড়তি পয়সা ফেলেও বাজারে মিলছে না। যার জেরে সমস্যায় উত্তরবঙ্গের চা-শিল্প। চা-গাছের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং চা-গাছের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রয়োজন পটাশ। উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রায় তিনশো চা-বাগান রয়েছে, আর তার সঙ্গে যুক্ত তিন লক্ষের বেশি শ্রমিক। পটাশ বাজারে না মেলায় চিন্তিত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা-বাগান কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর জানান, এই মুহূর্তে চা-গাছের স্বাস্থ্যরক্ষায় পটাশ খুব জরুরি। কিন্তু তা বাজারে অমিল। তার ওপর এত দাম বেড়েছে, যা নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত।আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পটাশের এই অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি পুরোপুরি কর্পোরেট লবির চাপে। এতে চা-শিল্প তো মুখ থুবড়ে পড়বেই, অন্য শিল্পে, বিশেষত কৃষিক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। কারণ পটাশ বহু ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। এটা পরিষ্কার, পটাশের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি (Price Hike) বহুজাতিক সংস্থারই সিদ্ধান্ত।