প্রতিবেদন : চা-বিস্কুট-তেল-শ্যাম্পুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও (Daily necessities) কি এবারে সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে? তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে তাতে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে মনে করছে উৎপাদক সংস্থাগুলো। কারণটা কী? একদিকে উৎপাদনমূল্য বৃদ্ধি, অন্যদিকে নিম্নমুখী চাহিদা একটা অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের দিকে ঠেলে দিয়েছে উৎপাদক সংস্থাগুলোকে। আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়া বহুজাতিক সংস্থাগুলোও ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছে না যে এই অবস্থায় কীভাবে বজায় থাকবে উৎপাদনের হার, মান এবং অবশ্যই লাভজনক বিপণন। শুধুমাত্র চা-বিস্কুট-তেল-শ্যাম্পু-সাবান কিংবা প্যাকেটজাত বিভিন্ন খাবারই নয়— চ্যবনপ্রাশ, পুদিনহারা, জ্যুসের চাহিদাও ক্রমশ কমছে বাজারে। কিন্তু বেড়েই চলেছে উৎপাদনমূল্য। মুশকিলটা হচ্ছে, এই অবস্থায় বাজার অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিপণন-জগতে টিকে থাকতে গেলে দাম বাড়াতেই হবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন বহুজাতিক এবং ভারতীয় উৎপাদক সংস্থার মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা। ফলে চা-বিস্কুট-তেল-শ্যাম্পু-সাবানের মতো নিত্যব্যবহার্য জরুরি পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন সংস্থার শীর্ষকর্তারা। নিচ্ছেন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও।
আরও পড়ুন-সনতের প্রচারে তিন ক্লাবকর্তা, আইএফএ সচিব
তথ্যের দাবি, দেশের ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস বা এফএমসিজি কোম্পানিগুলো জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে পড়েছে। পামতেল, কফি, কোকো এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এই চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে। এর পরে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরাঞ্চলে এই জনপ্রিয় পণ্যগুলোর চাহিদা অস্বাভাবিক কমে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা খাচ্ছে বিক্রির হার। তবে গ্রামাঞ্চলে অবশ্য ততটা হতাশাব্যঞ্জক নয় বিপণন-পরিস্থিতি। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় চ্যবনপ্রাশ, পুদিনহারার বিক্রি কমেছে ১৭.৬৫ শতাংশ। ক্ষতির অঙ্কটা প্রায় ৪১৭.৫২ কোটি টাকা। এটা একটা নমুনামাত্র। ফলে মাথায় হাত পড়েছে বৃহৎ উৎপাদক সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের। বাজার অর্থনীতির একটা বড় অংশই এই পণ্যগুলি দখল করে আছে। আচমকা এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সব দিকেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই সঙ্কট বেরিয়ে আসার কোনও উপায় হয় কিনা!