প্রতিবেদন : যা যা ভাবা গিয়েছিল, ঠিক সেই পথেই হাঁটছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বুধবার সংসদে (Parliament Attack) হামলার দায় ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলার জন্য প্রথমেই সংসদে প্রবেশের উপর কড়াকড়ি শুরু হল। ভিজিটার্স পাস নিয়ে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে বোঝানোর চেষ্টা— সরকার কতটা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে। এখানেই শেষ নয়, নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে ৮ নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় এড়াতে এবং পাস দেওয়া সাংসদকে আড়াল করতে সবচেয়ে সহজ ও লোকদেখানো পথে হাঁটার পরিচিত দৃশ্য। এই সুযোগে জেগে উঠেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা হলে যে মন্ত্রকের অস্তিত্ব বোঝা যায়, কিন্তু মণিপুর জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গেলেও যে মন্ত্রকের দিবানিদ্রা ভাঙে না।
দেশের মানুষের কষ্টার্জিত হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি নতুন সংসদ ভবন (Parliament Attack)। সেখানে নাকি সাতস্তরীয় নিরাপত্তা। কিন্তু সে তো শুধু নাম কা ওয়াস্তে। সবটাই যে আসলে ফাঁপা আর লোক দেখানো, তা প্রমাণ করে দিয়ে গেল ৬ জনের দলটি। ২৩ বছর আগে সংসদ ভবনের বাইরে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। এবার অধিবেশন কক্ষের মধ্যে, সাংসদরা যখন সংসদে বিতর্কে ব্যস্ত। ভাবা যায়! এ তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যর্থতা। দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত মন্ত্রীর। যে-দেশে সাংসদরাই সুরক্ষিত নন, সেখানে আমজনতার অবস্থা কী হতে পারে, তা বোধগম্য। অন্যদিকে, দেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়লেই মৌনব্রত অবলম্বন করে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। মণিপুর যখন জ্বলছে, প্রধানমন্ত্রী তখন নির্দ্বিধায় বিদেশ ভ্রমণ করেন। সম্রাট নিরোর ভূমিকায় থাকার দিন শেষ। পালিয়ে বেড়ালে হবে না। প্রকাশ্যে এসে বিবৃতি দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোটের মুখ বন্ধ করা যাবে না।
আরও পড়ুন- নয়া সংসদ ভবনের নিরাপত্তা-পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল