প্রতিবেদন : তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প। তাই পরিকল্পনা করেই তৃণমূলের উপর বারবার নেমে আসছে আঘাত। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে তৃণমূলকে। আবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার সঙ্গে বঞ্চনাও করছে। বাংলায় বকেয়ার পাহাড় জমেছে। কিন্তু বাংলার প্রাপ্য দিচ্ছে না কেন্দ্রের সরকার। তাই বাংলা উত্তাল হয়ে উঠল প্রতিবাদে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে রবিবারও ফের রাজ্যবাসী গর্জে উঠল। প্রতিবাদে প্রতিরোধ গড়ার ডাক দিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-জেরায় মুখ খুললেন ধৃত ইডি অফিসার, আঙ্গুল ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের দিকে
শনি ও রবিবার— দু’দিন প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। প্রতিবাদের দ্বিতীয় দিনেও বাংলার প্রতি ব্লকে ব্লকে মিছিল হল, বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস। দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন, সংবিধান বিপন্ন। রাজ্যে বিজেপির বিধায়করা জাতীয় সংগীতের অবমাননা করছেন, আদিবাসীদের অপমান করছেন। একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়ক যোজনা টাকা, নিজ গৃহ নিজ ভূমির টাকা দেওয়াও বন্ধ। বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই-ইডি দিয়ে তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। তারই প্রতিবাদে গোটা রাজ্যে তৃণমূল আওয়াজ তুলল, দাবি না মেটা পর্যন্ত প্রতিরোধ-আন্দোলন চলবে। এদিন বকেয়া-বঞ্চনা-সহ অপমান-অবমাননার প্রতিবাদে নববারাকপুরে মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন পথ পরিক্রমায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও ছিলেন নববারাকপুর পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটেই মধ্যপ্রদেশে জয় বিজেপির
বিধাননগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল হল। যাদবপুরে ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যরা। দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ মিছিল হল উত্তর ২৪ পরগনার হেমতাবাদের মহিপুরেও। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেমতাবাদ অঞ্চল সভাপতি সজিরুদ্দিন আহমেদ, ব্লক যুব সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম প্রমুখ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কুলপির কামারচকে প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন হালদার ও প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যরা। হুগলির শ্রীরামপুরে প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন শ্রীরামপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি সন্তোষকুমার সিং, প্রাক্তন পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় ও অন্যরা।
আরও পড়ুন-কমিশনের নির্দেশকে ‘ডোন্ট কেয়ার’, বিজেপি রাজ্যে নেতা–নেত্রীদের পকেটে নেশার দ্রব্য
শ্রীরামপুরে অন্য এক প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন, যুব সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায়। ব্যান্ডেলে মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। এ ছাড়া বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ এদিনও গর্জে উঠে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল হয়।