সংবাদদাতা, হুগলি : তখন দিল্লির সিংহাসনে আকবর। বাংলার গদিতে আলিবর্দী খান।প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের কিছু বেশি বছর আগে পুজো শুরু শ্রীরামপুর রাজবাড়িতে। এখানে বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। তাই পশু বলি এখানে হয়না। জানা যায়, রাজবাড়ির একটি প্রাচীন পুঁথি আছে। সেই পুঁথি মেনে শাস্ত্রমতে এখানকার পুজো হয়। ইতিহাস বলে, অতীতে পুজোর সময় এন্টনি ফিরিঙ্গি থেকে ভোলা ময়রারা গান গেয়ে গিয়েছেন এই রাজবাড়িতে।
আরও পড়ুন-ফের ডিগবাজি খেয়ে সুর নরম ট্রাম্পের, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইতিবাচক, বলল ভারত
এমনকি নিয়মিত আসা যাওয়া লেগে থাকত বড় বড় ওস্তাদদের। তবে সেই আতিশয্য বহরে অনেক কমেছে। কিন্তু তা হলেও পুজোতে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন বাড়ির সদস্যরা। এই রাজবাড়ির পুজো শুরু করেন হরিনারায়ণ গোস্বামী। এই রাজবাড়িতে বিভিন্ন সময়ে মহাত্মা গান্ধী, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, সুভাষচন্দ্র বসু ,শরৎচন্দ্র বসুর মতন রাজনীতিকের পদধুলি পড়েছে। শুধু রাজনীতির আঙ্গিনায় নয় এছাড়াও এই রাজবাড়ির দান ধ্যানের সুখ্যাতি তখনকার দিনে দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমান শ্রীরামপুর ভবন সেটিও এই পরিবারের দানে তৈরি। শ্রীরামপুরের অন্যান্য দুর্গা পুজোর মধ্যে আজও সগৌরবে মাথা উঁচু করে এই রাজ বাড়ির পুজো হয়ে চলেছে।