রণথম্ভোরে রানির রাজত্বের অবসান, মৃত্যু হল কুমির শিকারি বাঘের

ইতি ঘটল কিংবদন্তি বাঘিনি ‍‘অ্যারোহেড’-এর জীবনের। বন দফতর জানিয়েছে, রণথম্ভোরের রানির মৃত্যুর কারণ মস্তিষ্কে টিউমার।

Must read

প্রতিবেদন: ইতি ঘটল কিংবদন্তি বাঘিনি ‍‘অ্যারোহেড’-এর জীবনের। বন দফতর জানিয়েছে, রণথম্ভোরের রানির মৃত্যুর কারণ মস্তিষ্কে টিউমার। রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১৪ বছর। কিছুদিন আগেই পদম তালাও (জলাশয়) এলাকায় একটি কুমিরকে শিকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে এই বাঘিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হলে হাজার হাজার মানুষ তাকে ‍‘নায়িকা’ তকমা দেয়।
সম্প্রতি তার মেয়ে ‍‘কঙ্কাতি’ দু-জন মানুষ মেরে মানুষখেকো হয়ে যায়। মঙ্গলবার, বন দফতর তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে মুকুন্দ্রা হিল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রে পাঠায়। ঠিক সেই দিন সন্ধ্যাবেলায় অ্যারোহেডের মৃত্যুসংবাদ আসে। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বন প্রশাসন থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণীপ্রেমীরা। অ্যারোহেড বেশ নামজাদা কুলের বাঘ। সে ছিল বিখ্যাত বাঘ ‍‘মাছলি’-র নাতনি এবং কৃষ্ণা নামক আরেক পরিচিত বাঘিনির কন্যা। শুধু রক্তসূত্রেই নয়, সাহসিকতা ও রাজকীয়তা দিয়েও সে হয়ে উঠেছিল ‍‘রণথম্ভোরের রানি’। অ্যারোহেডের মুখের চিবুকের কাছে তিরের মতো দাগ থাকায় তার নাম রাখা হয় ‍‘অ্যারোহেড’। রণথম্ভোরের নলঘাটি ও রাজবাগ লেকের কাছেই ছিল তার ঘাঁটি। মৃত্যুর পর যোগী মহলের কাছ থেকে তার দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। বন আইন মেনে সম্পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। উপস্থিত ছিলেন বনের ওয়ার্ডেন, চিত্রগ্রাহক, স্থানীয় বাসিন্দা-সহ আরও অনেকে। ফুল-মালায় সাজিয়ে তার মরদেহকে শেষ বিদায় জানানো হয়।

আরও পড়ুন-স্ত্রীকে উপহার দিতে স্বর্ণবিপণিতে ৯৩ বছরের বৃদ্ধ, মঙ্গলসূত্রের দাম নিলেন না মুগ্ধ দোকানি

জানা গেছে, অ্যারোহেড চারবার সন্তান প্রসব করেছে এবং তার ১০টি বাচ্চার মধ্যে এখনও বেঁচে রয়েছে ৬টি। রণথম্ভোরের সরকারি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে—‍‘‘অ্যারোহেড ছিল এই জঙ্গলের সম্পদ, গর্ব। তার রাজকীয় চালচলনের জন্য তাকে ‍‘রণথম্ভোরের রানি’ বলা হত। আজ তার মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত।’’

Latest article