প্রতিবেদন : বছর ১৪-র এক নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল চার নাবালক। গণধর্ষণের পর ওই নাবালিকাকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কিশোরী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক প্রৌঢ়ের কাছে সাহায্য চায়। এরপর ওই প্রৌঢ় সাহায্য করার বদলে ফের কিশোরীকে ধর্ষণ করে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। গত শনিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কায়মুর জেলায়।
আরও পড়ুন-শাহের মন্তব্যে রিপোর্ট তলব
পুলিশ জানিয়েছে, ১৪ বছরের ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরোনোর পর তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় চার নাবালক। যার মধ্যে দু’জন ওই কিশোরীর সহপাঠী। তারা ওই কিশোরীকে পাহাড়ের কাছে জঙ্গলের ভেতর টেনে নিয়ে গিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে। কিশোরী জানিয়েছে, সে যাতে চিৎকার করতে না পারে সেই জন্য একজন সারাক্ষণ তার মুখ চেপে রেখেছিল। ঠিক সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন এক প্রৌঢ় ব্যক্তি। তাঁকে দেখতে পেয়ে ওই চারজন পালিয়ে যায়। সাহায্যের আশায় ওই কিশোরী এগিয়ে যায় শিক্ষকের কাছে। কিন্তু ওই শিক্ষক নাবালিকাকে উদ্ধার না করে তাকে আবারও ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন-ডোমকলে জনপ্লাবিত সভায় মহুয়া, কে পাশে, বোঝেন মানুষ
ধর্ষণের পর ওই শিক্ষক নাবালিকাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ওই শিক্ষক নাবালিকার মা-বাবাকে জানায়, চারজন মিলে তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করছিল। সে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। কিন্তু ওই শিক্ষক চলে যাওয়ার পর কিশোরী বাড়িতে মা-বাবাকে সব কথা জানায়। এরপরই গত শনিবার মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা কিশোরীর মা বাবা। চিকিৎসার জন্য কিশোরীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। ওই প্রৌঢ় ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত এক নাবালক গ্রেফতার হয়েছে। অপর তিনজনের খোঁজে চলছে তল্লাশি।