এই নিয়ে টানা ন’বার অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট (Repo rate)। আগের মতো রেপো রেট থাকছে ৬.৫ শতাংশ। আরবিআইয়ের (RBI) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সাংবাদিক বৈঠকে জানান বৃহস্পতিবার ‘মনিটারি পলিসি কমিটি’ দ্বিমাসিক তিন দিনের বৈঠকের শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে এই সিদ্ধান্ত সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ।’’ মুদ্রাস্ফীতি এবং বৃদ্ধির হার এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। তবে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘ভারতে এখন বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় ২ অগস্ট ৬৭৫০০ কোটি ডলারের সর্বকালীন নজির গড়েছে।’’
আরও পড়ুন-তীব্র ভূমিকম্প জাপানে, জারি সুনামি অ্যালার্ট
প্রসঙ্গত, বাজেট মিটে যাওয়ার পরেই রেপো রেট ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এবারও বাড়ানো হয়নি সুদের হার। ২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে রেপো রেট। ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেরই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেটা। সাধারণ মানুষের উপরে বাড়ছিল আর্থিক চাপ। বাড়ি, গাড়ির ঋণের উপরে সুদের হার বাড়ছিল। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে একবারও রেপো রেট বাড়ানো হয়নি। এছাড়া ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য জিডিপির অনুমান ৭.২ শতাংশ রয়েছে। এই অর্থবর্ষের মুদ্রাস্ফীতির অনুমান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির অনুমান এই অর্থবর্ষের জন্য ৪.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে।