প্রতিবেদন : নিট-দুর্নীতি কেন্দ্রীয় সরকারের ভিতরের কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে নিট-দুর্নীতির খলনায়করা। সিস্টেমে বদল এনে মেডিক্যালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দায়িত্ব অবিলম্বে রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, শনিবার এই জোরালো দাবি তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে এই ভয়াবহ দুর্নীতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। ব্রাত্যর কথায়, এর বেলায় কেন ইডি, সিবিআই মাঠে নামবে না? শিক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, আমাদের রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রের ভুলত্রুটি নিয়ে অনেক আলোচনা, টক-শো হল, তদন্ত হল, গ্রেফতারও হল কিন্তু কেন্দ্রের এই নিট যা সারা ভারতের ক্ষেত্রে খুব সম্মানের পরীক্ষা সেটার ক্ষেত্রে যা হল তা গোটা দেশ দেখেছে। তার জন্য কোনও তদন্ত হবে না? কেন্দ্রীয় এজেন্সি মাঠে নামবে না? এই ব্যর্থতার পর আমার মনে হয় ওদেরই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের হাতে সবটা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন-যাদের জেতার কথাই ছিল না তারা জিতবে কোন আক্কেলে?
এদিন রাজ্যপালের কুৎসিত ভূমিকা নিয়েও সরব ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপালকে ধুয়ে দিয়ে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় এক ধরনের বিপর্যয় চলছে, সেই বিপর্যয়ের নাম আনন্দ বোস। বিজেপির রাজ্যপাল শিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা করছেন। ওদের চলে যাওয়ার সময় এগিয়ে এসেছে। অতীতে বিজেপি ইতিহাস বদলানো থেকে শুরু করে পাঠ্যপুস্তকে বিষয় বদলানোর মতো একাধিক কুৎসিত কাজ করেছে। এই বিকৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেলাগাম দুর্নীতি যাতে সঙ্গত করছে কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী-আমলারা। ভ্রান্ত পলিসির জন্য আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে। অবিলম্বে এই কু-প্রয়াস বন্ধ না হলে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি মেকি ও ঘুণ-ধরা শিক্ষা কাঠামোটাই ভেঙে পড়বে। এর বিরুদ্ধে সরব রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও একটি ইতিবাচক খবর দিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, দ্রুতই চালু হবে স্নাতকস্তরে ভর্তির জন্য পোর্টাল।