প্রতিবেদন : বাংলার জেলায় জেলায় অনলাইন চিকিৎসা পরিষেবা দেবে পিজি। বিপ্লব আসতে চলেছে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। বাংলার তৃণমূল সরকারের উদ্যোগে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা হবে এবার শহরতলির সরকারি হাসপাতাল ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও। যেখানে হার্টের চিকিৎসার যথেষ্ট পরিকাঠামো নেই, সেখানেও এবার সরকারি উদ্যোগে মিলবে জীবনদায়ী চিকিৎসা। পিজি হাসপাতালে চালু হচ্ছে টেলিমেডিসিন ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’। রাজ্য সরকার দেশের একাধিক আইআইটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলার ব্লকে ব্লকে এই পরিষেবা শুরু করতে চলেছে।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টের রায় উড়িয়ে বিজেপির বকলমে প্রস্তাব পেশ
বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস এই উদ্যোগকে বাস্তিবায়িত করতে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা নিয়েছে। তারা ৪০টি বড়, মাঝারি সরকারি হাসপাতালকে টেলিমেডিসিনে যুক্ত করে প্রায় ৭৫০ স্ট্রোক রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই মডেলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সমস্ত জেলা, মহকুমা, ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালকে টেলিমেডিসিনে যোগ করবে। প্রধান হাসপাতাল পিজিকে কেন্দ্র করে পরিষেবা প্রদান করবে রাজ্যের জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলি। পিজির কার্ডিওলজি ও মেডিসিন বিভাগ টেলিমেডিসিন চালু করবে। জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল হার্ট অ্যাটাকের রোগী আইআইটি নির্মিত এক বিশেষ চেয়ারে বসানো হবে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর প্রেসার, সুগার, পালস রেট, ইসিজি, হার্টের যাবতীয় তথ্য রেকর্ড হতে শুরু করবে।
আরও পড়ুন-বাংলা এখন বাণিজ্যবান্ধব : শশী
সেগুলি অনলাইনে চলে যাবে পিজির চিকিৎসকদের কাছে। তাঁদের পরামর্শমতো চিকিৎসা শুরু হবে। পিজির কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের বাঁচাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই চালু হচ্ছে টেলিমেডিসিন পরিষেবা।’’ স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘শীঘ্রই টেলিমেডিসিনে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসাও যুক্ত হতে চলেছে।’’ বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে যদি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন ও ওষুধ দেওয়া হয়, তবে শুধু জীবনই বাঁচবে না, রোগীদের সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে কিংবা স্টেন্ট বসানো বা বাইপাসের জন্য সময় পাওয়া যাবে। এই জীবনদায়ী পন্থাকে বলা হয় থ্রম্বোলাইসিস। এই পদ্ধতিতে স্রেফ একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে ফিরিয়ে আনা যায়।