সংবাদদাতা, কাটোয়া : পূর্বস্থলী ২ নং ব্লকের জয়কৃষ্ণপুর গ্রাম লাগোয়া বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে হঠাৎ হঠাৎ গর্তের উদয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। কেউ ভূত, কেউ জিনের অস্তিত্ব টের পাচ্ছেন। ভয় কাটাতে মাঠে নেমেছেন কৃষিকর্তা ও বিজ্ঞানকর্মীরা। বোঝাচ্ছেন, ভূতের কোনও ভূমিকাই নেই। মাটির তলায় জলস্তর নেমে যাওয়ায় শূন্যতা থেকে ধস নেমেছে।
আরও পড়ুন-বামেরা আগে নিজেদের দুর্নীতিটা দেখুক
মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের মাঠে এদিক-ওদিকে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কোনওটা ১০, কোনওটা ২০ ফুট গভীর। কোনওটা সুড়ঙ্গের মতো। দিনচারেক এইসব গর্ত চোখে পড়ছে বলে জানালেন স্থানীয় সামিরুল মণ্ডল, আবদুল্লা শেখরা। হঠাৎ গর্তের উদয়ে জিনপরির ছায়া দেখছেন অনেকে। শিশু ও মহিলারা বাড়ি থেকে বেরোতেই চাইছে না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে দাবি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের সভাপতি তাপসকুমার কার্ফার। তাঁর ব্যাখ্যা, যে জায়গায় ধস নেমেছে, সেখান দিয়ে বহুকাল আগে খড়ি ও ভাগীরথী নদী বইত। পরে দুটি নদীই দিক বদলায়।
আরও পড়ুন-সিসিটিভি ফুটেজে কোন্নগরের মানুষ দেখল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নমুনা
ফলে বিভিন্ন জায়গায় পলি বা বালি জমে ওয়াটার পকেট তৈরি হয়েছে। চাষের জন্য ভূগর্ভ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল তোলায় কিছু ওয়াটার পকেট শুকিয়ে মাটি বসে গর্ত তৈরি হয়েছে। পুকুর, খাল-বিল সংস্কার করে জল ধরলে ওয়াটার রিচার্জের মাধ্যমে সমাধান হবে। কৃষি দফতর গর্তকাণ্ডে শেয়ালের ‘ছায়া’ দেখতে পাচ্ছে। এলাকায় শেয়ালের সংখ্যা প্রচুর বেড়েছে। শেয়াল বাসা করার জন্য মাটিতে বড় বড় গর্ত করে। বৃষ্টিতে কৃষিজমির মাটি নরম হওয়ায় গর্ত করার সুবিধে হয়েছে।