কল্যাণ চন্দ্র, বেলডাঙা : পুর নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূলের জনসভা হল বেলডাঙায়। রবিবার বিকেলে বেলডাঙার জনকল্যাণ মাঠে ওই সভায় জনজোয়ার দেখা গেল। পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার মহিলা-পুরুষ ভিড় করেন ওই জনসভায়। এদিনের সভায় পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডের সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীদের উপস্থিত করে পরিচয় পর্ব শুরু করতেই উপস্থিত দর্শকরা হাততালি দিয়ে বরণ করে নেন। পুর নির্বাচনের ওই জনসভায় উপস্থিত হয়ে বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একাধিক উন্নয়ন হয়েছে বেলডাঙায়। বেলডাঙার হাটে হাজার হাজার লোক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেখানে ব্যবসার সমস্যার কারণে নতুন গার্মেন্ট হাব নির্মাণ হয়েছে কয়েক কোটি টাকার। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র, একাধিক পার্ক, সৌন্দর্যায়ন, রাস্তা-ড্রেন, আলো, নিরাপত্তা বাড়াতে জনবহুল এলাকাগুলিতে সিসি টিভি বসানো হয়েছে বেলডাঙায়। ফলে পুরসভায় উন্নয়ন দেখে পুর নাগরিকরা তৃণমূলের প্রতীকে ভোট দেবেন বলে আশা করেন তিনি। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বলছেন, যে কাজ তাঁরা পাচ্ছেন, যে আয় তাঁরা করছেন সেই আয় সংসারে সুখ এনে দিয়েছে তাঁদের। শাওনি বলেন, কংগ্রেস আজ অস্তমিত। কংগ্রেস ভোটের বাজার গরম করে মাঠে নামতে চায়। সারাবছর কংগ্রেসকে আর দেখা যায় না। বিজেপির কার্যকলাপের জন্য জিয়াগঞ্জ ও আজিমগঞ্জের তাবড় তাবড় বিজেপি নেতা বিজেপির টিকিট প্রত্যাখ্যান করেছেন। বহরমপুরের কয়েকটি আসন গোহারা হারবে বলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন কয়েকজন প্রার্থী। বেলডাঙার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভরত ঝাওর মই চিহ্নে দাঁড়িয়েছেন। সেই নির্দল প্রার্থীদের প্রসঙ্গে শাওনি সিংহ রায় বলেন, সাপ-লুডু খেললে হবে না। মই দিয়ে ওঠা সহজ কিন্তু নেমে গেলে কী হবে? তাই মইওয়ালাদের বলছি, কালিদাস হবেন না। মুখে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মই লুডো খেলছেন! বেলডাঙার মানুষ এটা মেনে নেবেন না। এদিনের জনসভায় বেলডাঙা তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ, রেজিনগর তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, ডোমকল তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।