প্রতিবেদন : মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার নিরিখে দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলা। দেশের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির ক্ষেত্রে বাংলা যে দেশের মধ্যে প্রথম, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই সেই স্বীকৃতি দিয়েছে। একইসঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাই মডেল। তৃণমূল এই মর্মে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভিডিও সহযোগে জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য জুড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের একাধিক প্রকল্প স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে করে তুলেছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ বছরের রাজ্য বাজেটেও বরাদ্দ হয়েছে ৭৯৮.৫৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ফলতায় সেবাশ্রয় শিবির পরিদর্শন অভিষেকের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও আর্থিক সহায়তায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে দেশের বুকে উদাহারণ তৈরি করেছে। বাংলার সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ‘জাগো’ প্রকল্পে শর্তহীন আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। আবার মহিলাদের হাতে তৈরি জিনিস ক্রেতাদের কাছে পৌঁছতে নিয়ম করে প্রতিবছর সবলা মেলার আয়োজন করা হয়। সামাজিক সুরক্ষার স্বার্থে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য সমাজসাথী প্রকল্প, উপজাতিদের জন্য মুক্তিধারা প্রকল্প এবং স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পও রয়েছে সেই তালিকায়।
মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, আমাদের রাজ্যে এখন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ লক্ষ। অন্য কোনও রাজ্যে তা নেই। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯৩৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারে-কাছেও নেই বিজেপিশাসিত কোনও ডবল ইঞ্জিন রাজ্য। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উন্নয়নে, বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গোষ্ঠীগুলোর আত্মনির্ভরতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে তাঁর সরকার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নারী ক্ষমতায়নে একাধিক মহান কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। প্রশাসনের একাধিক স্তরে বিপুল পরিমাণ মহিলার অন্তর্ভুক্তি, সংসদেও ৩৮ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি প্রেরণের কান্ডারি তিনিই। তারই ফলশ্রুতিতে আগামী ২৭ মার্চ বক্তব্য রাখতে চলেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে।