সংবাদদাতা, মালদহ : মালদহ জেলার অর্থনীতির ভিত আম আর রেশম। করোনা পরিস্থিতিতে মালদহের রেশমচাষ পড়েছিল সঙ্কটের মুখে। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মালদহের ১১টি ব্লকের প্রায় ৬০ হাজার রেশমচাষি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার রেশমচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা ধরনের সাহায্য নিয়ে। আর তারই জেরে করোনা-সঙ্কট কাটিয়ে এবার লক্ষ্মীলাভ করছেন রেশমচাষিরা। রেশমচাষের সহায়ক আবহাওয়া আর সরকারি সাহায্যের ফলে এবারও আশার আলো দেখছেন চাষিরা। মালদহ জেলার অর্থকরী রেশম-ফসল এবার রেকর্ড উৎপাদন করতে পারে, যদি না বড়সড় কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। এই মুহূর্তে মালদহ জেলার কালিয়াচক-সহ এগারোটি ব্লকে ফাল্গুনী রেশমচাষ চলছে।
গত দু বছর করোনার কারণে মালদহ জেলার রেশমচাষ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় ছিল। এবার উন্নতমানের জাপানি শূককীট সরবরাহ করেছে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে ফাইটোনল গ্রোথ হরমোন, মাইক্রোমিক্স, ঘরশোধনের জন্য আর্থিক সাহায্য। ফল মিলেছে হাতেনাতে। রেশমচাষি জামাল হোসেন, ইয়াসিন আলি, আশু শেখ, সানাউল্লাহ শেখ, শরিফ আলিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ফাল্গুনী রেশম প্রতি মন বিক্রি হতে শুরু করেছে ১৮ থেকে ১৯ হাজার টাকা দরে। আরও জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার ১১টি ব্লকে ৬০ হাজার পরিবার রেশমচাষের সঙ্গে যুক্ত। আর এই চাষের ওপর নির্ভর করে মালদহ জেলার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর অনেকটাই। আরকেভিওয়াই ও বিশেষ প্রকল্পে সরকারি সাহায্যের পর এবার রেশমচাষ আশাতীত ভাল হতেই রাজ্যের কৃষি দফতরের সচিবকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল রেশম বিভাগের চালু প্রকল্পগুলি যেন বন্ধ না হয়, সে বিষয়ে মুখ্যসচিব, কৃষিসচিব ও রেশম কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।