প্রতিবেদন : উত্তরে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত। তবে পাহাড়ে বৃষ্টি কিছুটা কমায় রবিবার সকালে কলিম্পং থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রাস্তার ধস পরিষ্কার করতে পেরেছে প্রশাসন। চলাচল করছে ছোট গাড়িও। তবে অতিবৃষ্টির কারণে এখনও ফুঁসছে পাহাড়ি নদীগুলি। প্রবল জলস্ফীতি তিস্তা, তোর্ষায়। রাস্তায় উঠে এসেছে জল। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শনিবার ধস নেমেছে কার্শিয়াং মহকুমার অন্তর্গত পাগলাঝোরায় ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কেও। এর ফলে দার্জিলিং, কালিম্পং ও সিকিমের যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।
আরও পড়ুন-পুজোর পরেই দিঘার জগন্নাথধামের হবে দ্বারোদ্ঘাটন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
রাস্তাগুলি সারাইয়ের কাজ চলছে। অতিবৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে টয়ট্রেন পরিষেবাও। জলপাইগুড়ির মেখলিগঞ্জ, জলঢাকা নদীর এনএস ৩১ অসংরক্ষিত এলাকায় আজও রয়েছে লাল সর্তকতা। জলঢাকায় সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতার পাশাপাশি তিস্তার দোমোহানি অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা রয়েছে। ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা, করলা নদী-সহ জেলার বিভিন্ন নদী। জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে যাওয়া করলা নদীর জলে প্লাবিত জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনি-সহ বেশ কিছু এলাকা। কোচবিহারেও তোর্ষার জল ঢুকেছে গ্রামগুলিতে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আবদুল জলিল আহমেদ। কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। খোলা হয় ত্রাণশিবিরও। আলিপুরদুয়ারে শনিবার রাতে জল এতটাই বেড়ে যায় যে, পুরসভার তরফে মানুষের সুবিধার জন্য রাস্তায় নামানো হয় নৌকা।