শুক্রবার বিধানসভার (Assembly) বিশেষ অধিবেশনে শপথ নিলেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দুটোয় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, বৃহস্পতিবার, রাতে রাজভবনে থেকে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর কথা বলা হয়। কিন্তু এদিন অধিবেশনে স্পিকারের উপস্থিতিতে এই কাজ করতে রাজি হননি ডেপুটি স্পিকার।
এদিন বিশেষ অধিবেশন ডাকেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, তিনি শপথের বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে জানাননি। কিন্তু তিনি জানান শুক্রবার সকালে বিএ কমিটির বৈঠকে সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। এদিকে রাজ্য সদর্থক ভূমিকা নিতেই তড়িঘড়ি মাঠে নামেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবারই রাজভবনের তরফে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অনুমতি দিয়ে নির্দেশ জারি করা হয়। যদিও ডেপুটি স্পিকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন বিধানসভার (Assembly) অধ্যক্ষ হিসাবে যে দায়িত্ব বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পালন করেন, তা তিনি পালন করবেন না।
এদিন অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার বলেন, “১৮৮ ধারা অনুযায়ী জয়ী প্রত্যেককে শপথ নিতে হয়। এটাই রীতি যে স্পিকারের সামনে বিধানসভায় শপথ নেন বিধায়করা। কিন্তু এই দুজনের ক্ষেত্রে দেখা গেল বারবার জানানোর পরও রাজভবন কোনও পদক্ষেপ করলেন না। আমি এখানে অসহায়। শপথ রীতি অনুযায়ী বিধানসভায় হওয়ার কথা। এই দুজনও সেটাই জানান রাজ্যপালকে।”
বিধানসভার রুল পড়ে শোনান স্পিকার। সঙ্গে দুই বিধায়ক তাঁর কাছে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন সেসব হাউসের সামনে বলেন। এর পরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, “যেখানে আপনি উপস্থিত সেখানে আপনি শপথ না করিয়ে আমি শপথবাক্য পাঠ করাব- এই অসম্মানজনক বিষয়টি আমি মেনে নিতে পারব না।”
এরপরেই বিধানসভার অধিবেশন কক্ষেই রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার গ্যালারিতে সায়ন্তিকার শপথ দেখতে হাজির ছিলেন বরানগরের পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিক, অঞ্জন পালরা। কিন্তু চূড়ান্ত অসৌজন্যতা দেখিয়ে এই শপথ গ্রহণ পর্ব ও আজকের অধিবেশনে যোগ দেয়নি বিরোধীরা।