বিধানসভায় আজ পেশ রাজ্য বাজেট

অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিকেল ৪টেয় বাজেট পেশ করবেন। তার আগে ৩.৪৫টায় বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক

Must read

প্রতিবেদন : আজ, বুধবার বিধানসভায় পেশ হবে রাজ্য বাজেট। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিকেল ৪টেয় বাজেট পেশ করবেন। তার আগে ৩.৪৫টায় বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। রীতিমাফিক এই বৈঠকেই পাশ করানো হবে রাজ্য বাজেট। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষের সরকারের এটিই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আগামী বছর নির্বাচনের আগে শুধু ভোট অন অ্যাকাউন্ট হবে। রাজ্য বাজেটকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা রয়েছে বিধানসভা চত্বরে। বিধানসভার ভিতরে ‘স্ট্রং রুমে’ মঙ্গলবার রাতে বাজেট বই এনে রাখা হয়েছে। বাইরে দেওয়া হয়েছে পুলিশি প্রহরা। আজ অধিবেশন শুরুর মুহূর্তে বিধায়কদের বাজেট বই দেওয়া হবে। রাজ্য বাজেট নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁদের সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষজনকে কীভাবে আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলা যায়। আসলে আর্থিকভাবে যাঁরা সবচেয়ে পিছিয়ে তাঁদের উন্নতি না করতে পারলে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মন্ত্রীর সংযোজন, শুধু সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশই নয়, ধীরে ধীরে ছাত্র, যুব, কর্মচারী, শ্রমিক, মহিলা-সহ সমাজের সর্বস্তরকেই উপকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যাশিতভাবে এবারের বাজেটের অভিমুখও সেদিকেই থাকবে বলা যেতে পারে।

আরও পড়ুন-অঙ্গনওয়াড়িতে রান্না এবার এলপিজিতে

বাংলায় তৃণমূল সরকারের অন্যতম স্লোগান হল, ‘এগিয়ে বাংলা’। শোভনদেব বলেন, এই এগিয়ে বাংলা শুধু স্লোগান নয়, আমাদের সরকারের উন্নয়নের প্রধান মন্ত্রও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা প্রতি মুহূর্তে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রীর দাবি, ২০১১ সালের আগে কৃষিতে যা ছিল আমরা তার চেয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছি। এখন সারা দেশের নিরিখে বাংলায় কৃষকদের আয় সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন-বিশ্বরেকর্ড, একদিনে ৩৪ গলব্লাডার অপারেশন

রাজ্যে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী আলোচনা-গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের বৈঠকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, সবকিছুকে একপাশে সরিয়ে রেখে একযোগে বিধানসভার নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে দলকে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য সামাজিক প্রকল্পগুলি একটিও বন্ধ করেননি। বরং উত্তরোত্তর এই প্রকল্পের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকৃত হচ্ছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিশেষ করে বাংলার গ্রামীণ অঞ্চলে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে এবং প্রান্তিক মানুষের কাছে এই সামাজিক প্রকল্পগুলির গ্রহণযোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা প্রশ্নাতীত। এবারের বাজেটেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সামাজিক প্রকল্পে কত বরাদ্দ রাখছে বা বাড়াচ্ছে সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে সকলের। রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে সেসব খাতেও নতুন কী বরাদ্দ আসছে, সেইসঙ্গে কোন খাতে কী বাজেট বরাদ্দ হল তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।

Latest article