ঘনবসতি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকলের গাড়ি প্রবেশের সমস্যা নিরসনে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হচ্ছে। একারণে কলকাতায় ১৫ টি ছোট গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দমকল বিভাগ। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন যায়গায় আগুন নেভাতে গিয়ে দেখা গিয়েছে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার দরুণ ওই সব এলাকায় দমকলের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। সেজন্য আড়াই হাজার লিটার জলধারণ ক্ষমতার ১৫টি ছোট গাড়ি কেনা হচ্ছে। এছাড়াও ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৭৫টি নতুন গাড়ি কিনছে দমকল বিভাগ। শীঘ্রই জঙ্গিপুর ও পূর্ব বর্ধমানে আরও দুটি দমকল কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ১৬৪টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা ২০০ পর্যন্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য সরকার। যাতে কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দমকলের গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে।
আরও পড়ুন- আগামিকাল শেষকৃত্য, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা দেশবাসীর
সম্প্রতি তপসিয়া ও নিউ আলিপুরের ঝুপড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। নিউ আলিপুরের অগ্নিসংযোগ এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল যে দীর্ঘক্ষণ শিয়ালদহ-বজবজ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছিল। যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয় দুর্গাপুর ব্রিজেও। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থল পর্যন্ত নিয়ে যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল দমকল কর্মীদেরও।
প্রসঙ্গত, পরপর ঝুপড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সম্প্রতি নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। নিউ আলিপুরের অকুস্থলে দাঁড়িয়েই ফিরহাদ প্রশ্ন তুলেছিলেন, “পর পর ঝুপড়িতেই কেন আগুন লাগছে?” ফিরহাদ এও বলেন, “এর পিছনে নিশ্চয়ই কিছু রয়েছে। শীতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ কিছু একটা করছে। অনেকেই বাড়ির আশেপাশে দাহ্য পদার্থ রাখেন। সেটাও আমাদের দেখতে হবে।”