ভিন রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফেরাতে তৎপর বাংলার প্রশাসন। এবার নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য থাকছে ‘শ্রমশ্রী’। সেই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হবে তাদের। বাংলার যে সকল শ্রমিক বাংলার বাইরে কাজ করছেন, তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে এনে অথবা কেউ নিজে ফিরে এলে, তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। এই প্রকল্পের নাম দিয়েছি শ্রমশ্রী। পাশাপাশি যতদিন না তাঁরা কাজ পাচ্ছেন তাঁদের মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে এক বছর পর্যন্ত। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমন কথাই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-হায়দরাবাদে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ৫, আহত বহু
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”মঙ্গলবার ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে শ্রম দপ্তর থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা, খাদ্য সাথী কার্ড দেওয়া হবে। যতদিন না পর্যন্ত কাজ পাবেন, ততদিন পর্যন্ত এই ভাতা চলবে। ভিন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই এই রাজ্যের শ্রমিকরা হেনস্থার মুখে পড়েছেন। তাই এই নতুুন প্রকল্প আনা হল। আপাতত এক বছর ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে মাসে আর্থিক সাহায্য পাবেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা। এককালীন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৫ হাজার টাকা। যতদিন না কাজের ব্যবস্থা হচ্ছে তাঁদের, তত দিন সরকারের তরফে ওই সাহায্য দেওয়া হবে। ২ হাজার ৭০০ পরিবার কিছু দিনের মধ্যে ফিরে এসেছেন, অত্যাচারিত হয়েছেন। ১০ হাজারের বেশি লোককে আমরা নিয়ে এসেছি। অনেকে নিজেরা ফিরে আসছেন। শ্রমশ্রী পোর্টাল তৈরি হবে এবং তাঁরা আই কার্ড পাবেন। ফিরে এসেছেন যাঁরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর আগেও কোভিডের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করা হয়েছে। আমরা বাইরের রাজ্যের মানুষকে এখানে সম্মানের সঙ্গে রাখি। কিন্তু বাংলার শ্রমিকদের বাইরে গিয়ে হেনস্থা হতে হচ্ছে। গতকাল শুনলাম, অন্ধ্রে একজনকে খুন করে তাঁর ডেড বডিটা পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি। এই কারণে আমরা প্রকল্প আনলাম। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য সাহায্য করব।’’
আরও পড়ুন-জনবিরোধী, বাংলাবিরোধী, গরিব বিরোধী, সংবিধান বিরোধী বিজেপি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এরপরেই বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার আছে, সেখানে বাংলা ভাষা এবং বাঙালি পরিচয় পেলেই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। কেউ বাংলায় কথা বললে তাঁকে অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কাউকে বাংলাদেশে ‘পুশ’ করে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।’’