রাস্তার পাশে যত্রতত্র হোর্ডিং (Hoarding) টাঙানো নিয়ে কিছুদিন আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের কোথায় হোর্ডিং টাঙানো হবে, সেটির সম্পর্কে সকলের সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। পুরসভার তরফে একটি সুস্পষ্ট নীতি থাকা উচিত। বিষয়টিতে নজর দিয়ে এবার রাজ্যের নতুন হোর্ডিং নীতি তৈরি করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। খুব দ্রুত এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেখানে বলা থাকবে যেকোন বাড়ির দরজা-জানালা আটকে হোর্ডিং লাগানো যাবে না। হেরিটেজ ভবন, কবরস্থান, শ্মশান, জলাশয় এবং ফরেস্ট এলাকায় হোর্ডিং লাগানো নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন-ইসলামপুরে গুলিবিদ্ধ ২ তৃণমূল নেতা
ইতিমধ্যেই নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের হোর্ডিং পলিসি কী হবে, তার একটি খসড়া পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে পুরসভাগুলি নিজেদের ইচ্ছে মত হোর্ডিং লাগাতে পারবে না। প্রতিটি শহরে ‘নো হোর্ডিং জোন’ চিহ্নিত করতে হবে। নো হোর্ডিং জোনের মধ্যে থাকছে যেকোন রকম হেরিটেজ ভবন, শ্মশান ও কবরস্থান ন্যাশনাল ফরেস্ট, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, ডিস্ট্রিক্ট ফরেস্ট এবং জলাশয়। শুধু তাই নয়, কোনও ধর্মসংস্থানের সামনে হোর্ডিং লাগানো যাবে না। বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগাতে গিয়ে কারও বাড়িতে আলো-বাতাস ঢোকা বন্ধ করা যাবে না। বাড়ির ওপেন স্পেস ব্লক করা যাবে না। শহরের নান্দনিক সৌন্দর্য ব্যাহত করা যাবে না। ট্র্যাফিক লাইট পোস্টে হোর্ডিং লাগানোর ছাড়পত্র পাওয়া যাবে না। হোর্ডিংয়ের মধ্যে লাল এবং সবুজ আলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ। ঝড়, বৃষ্টি বা ভূমিকম্পের মতো যেকোন রকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় যাতে হোর্ডিং ভেঙে না পড়ে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে হোর্ডিংয়ের ‘স্ট্রাকচারাল ডিজাইন’ আগেই জমা দিতে হবে।