সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়ক দলের সদস্যদের আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারি চেষ্টা চলছে। সারা রাজ্য জুড়ে এই চেষ্টা চলছে। এ খবর জানিয়ে রাজ্যের স্বনিযুক্তি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত ও বন রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Minister Birbaha Hansda) বলেন, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের ২৭টি স্বসহায়ক গোষ্ঠীকে মাইক্রো প্রজেক্টের জন্য ৪৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই সব প্রকল্পের সুযোগ নিয়ে নানা ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করছেন তাঁরা। স্কুলের পোশাক, আঁচার, পাঁপড়, বড়ি, সুগন্ধী ধূপ, নানা ধরনের মশলা, বাবুইদড়ি ইত্যাদি তৈরি করছে। অবশ্য তার আগে সরকার থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। অনেক স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারা খাওয়ার ক্যান্টিন চালান। তাঁদের উন্নতির জন্য রাজ্য সরকার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্যের এরকম ১৯টি স্বসহায়ক দলের ক্যান্টিনের স্থায়ী ঘর তৈরি করতে ৫৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এবং ক্যান্টিন চালানোর উপকরণ কিনতে আরও ২৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে আমাদের দফতর থেকে। রাজ্যের স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রতিষ্ঠিত করে সামনের সারিতে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় সবলা মেলা শুরু হয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়ে। এই মেলার মাধ্যমে স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের হাতে তৈরি নানান জিনিসপত্র দেখানোর ও বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছেন। মেলাগুলি ৭ দিন ধরে চলে। বহু স্বসহায়ক দলের সদস্যরা স্কুলের পোশাক তৈরি করছেন। সেই সব পোশাক আবার সরকার কিনে নিচ্ছে। বর্ধমানের মেমারির কাছে দেখে এলাম স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মেয়েরা স্কুলের পোশাক সুন্দর বানাচ্ছেন। আমাদের সরকারের আমলে রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে পড়াশোনা করার ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একটা উৎসাহ দেখছি। এটাই আমাদের নেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমাদের সরকারের সাফল্য। মহিলাদের জন্য আমাদের সরকার ভাবছেও। এই সব কাজের মধ্যে দিয়ে মহিলারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল যেমন হচ্ছেন। তেমনই তাঁদের হাত খরচের টাকাও নিজেরা উপার্জন করছেন। মেয়েরা কতটা এগিয়ে এসেছেন দেখুন। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। এখন তো দেখছি মেয়েদের পরিচালনায় রক্তদান শিবির পর্যন্ত হচ্ছে। সামাজিক কাজেও মেয়েরা অনেক এগিয়ে এসেছেন। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারা উঠে এলে সচ্ছল পরিবার ও সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে বলে মনে করি।