প্রতিবেদন : আসন্ন উৎসবের মরশুম এবং সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। একদিকে চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কিনে তা সুফল বাংলা স্টলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যদিকে ফড়েদের দাপট কমাতে বাজারে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। বাজারদর পর্যালোচনা করতে সোমবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই বৈঠকে তিনি এই দুই পদক্ষেপকে আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে কৃষি বিপণন দফতর নানা এলাকায় ১০৯টি অস্থায়ী কাউন্টার চালু করেছে। এই অস্থায়ী কাউন্টারের জন্য স্থানীয় কৃষকদের বাড়ি থেকে সরাসরি ফসল কিনছে রাজ্য সরকার। তাতে অন্যান্য খরচ ছাড়াই উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা। এই কাউন্টারের সংখ্যা আরো বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং মালদার কৃষকদের বাড়ি থেকে আলু–সহ সবজি তুলে আনা হচ্ছে। রাজ্য সরকার গাড়ি ও শ্রমিক পাঠিয়ে কৃষকদের বাড়ি থেকে আলু সংগ্রহ করেছে। এক্ষেত্রে কৃষকরা বিনা খরচে তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারছেন। আর তা সুলভে পাচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। এই ব্যবস্থা জেলাগুলিতে চলছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি রাজ্যে শ্রমিক খুনের প্রতিবাদ, উত্তরে গর্জে উঠল আইএনটিটিইউসি
অন্যদিকে সুফল বাংলা স্টলের সংখ্যাও আরো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে বর্তমানে রাজ্যে ৬২৬টি সুফল বাংলা স্টল রয়েছে। পুজোর আগে আরো ২০০টি স্টল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে বাজার কমিটি গুলি জানায় আনাজ পাতির দাম এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তা স্বত্বেও পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে যাতে বাজারে কৃত্রিম ভাবে যাতে দাম না বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেজন্য নিয়মিত অভিযান চালাতে টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
একদিকে বৃষ্টির দাপট অপরদিকে ডিভিসির জল ছেড়ে দেওয়ায় গ্রামবাংলায় এখন বানভাসী পরিস্থিতি। তার জেরে ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই আলু, পেঁয়াজ সহ কাঁচা আনাজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। মানুষকে তার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই অবস্থা যাতে কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।