প্রতিবেদন : করোনা কালেও রাজ্যে সচল থেকেছে অর্থনীতির চাকা। এর পিছনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো মানুষের হাতে সরাসরি নগদ জোগানোর প্রকল্পের অবদানের কথা তুলে ধরলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা ড. অমিত মিত্র। শুক্রবার রাজ্য বাজেট পেশের পর ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের জন্য সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়ছে। আমজনতাকে পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একের পর এক প্রকল্প চালু করছে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। লকডাউনের সময় মানুষের হাতে নগদের জোগান বাড়াতে বিশ্বের তাবৎ অর্থনীতিবিদরা এই পরামর্শই দিয়েছিলেন। মোদি সরকার তাতে কর্ণপাত না করলেও এরাজ্যে তা বাস্তবায়িত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন – স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলবে আরও সুবিধা, নতুন নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের
অমিত মিত্র বলেন, “মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে তাঁদের হাতে সরাসরি টাকা দেওয়ার প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তাঁদের হাতে টাকা দিচ্ছেন, যা তাঁরা খরচ করবেন এবং এর ফলে চাহিদা তৈরি হবে। শিল্পের বিনিয়োগে উৎসাহ তখনই তৈরি হবে, যখন চাহিদা তৈরি হবে। ২০২০-২১ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৩ শতাংশ পিছিয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প নিয়ে এসেছেন, তার ফলে ২০২১-২১ সালে আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে ১.২ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক তাত্ত্বিক ম্যাক্রো ইকোনমিক নীতি অনুসরণ করছে।” পাশাপাশি রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়েও সরব হয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০২০-২১ আর্থিক বছরে বাজেটে উল্লেখিত ১৪ হাজার ২২৫ কোটি টাকা কেটে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বৈধ প্রাপ্য টাকার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ, প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া জিএসটির টাকা এখনও দেয়নি কেন্দ্র। তার উপর আমাদের উপর ধার চাপিয়ে দিয়েছে ৬ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।”