প্রতিবেদন : চোপড়ায় (Chopra Case) সালিশি সভায় মাতব্বরির ঘটনায় এবার কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসন আগেই চটজলদি ব্যবস্থা নিয়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চোপড়া-কাণ্ডের সম্পূর্ণভাবে বিরোধিতা করি আমরা। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিয়েছে, যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তা নিয়েছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চোপড়ার আইসিকে শোকজ করা হয়েছে। নিগৃহীতার পুলিশ প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভয় ধরাচ্ছে জিকা ভাইরাস, পুণেতে ১০ দিনে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা-সহ ৫
রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তি ওখানে বসে গোটা ঘটনা দেখছিলেন তাঁদেরকেও এই দোষে অভিযুক্ত করা উচিত। একজন মানুষ দাদাগিরি করছে, আর বাকিরা কি বসে মজা দেখছিল? সিপিএমের আমলে এসব বহু হয়েছে, বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করছে। এদিন চোপড়া-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জেসিবি ওরফে তাজামুল হককে সোমবার তোলা হল ইসলামপুর মহকুমা আদালতে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার দীঘলগাঁ এলাকায় (Chopra Case) বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের দরুণ সালিশি সভায় যুগলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। এর আগে বিধায়ক হামিদুল রহমান জানান, সালিশি সভার এই ঘটনার সাথে দলের কেউ জড়িত নয়। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালও বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা নয়।