নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে রেহাই দিতে উদ্যোগী রাজ্য, বাজারদর মঙ্গলে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

শাকসবজি, আনাজপাতি-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

প্রতিবেদন : শাকসবজি, আনাজপাতি-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে মঙ্গলবার বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক ফোর্স, বিভিন্ন দফতর, পুলিশ, এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিক ও জেলাশাসকরা ওই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সমস্ত জিনিসের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ চরম অসুবিধায় পড়ছেন। সে-কারণেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।

আরও পড়ুন-সংশোধনাগারে চালু হচ্ছে টেলি-মেডিসিন

শাকসবজি ও আনাজপাতির আগুন দাম থেকে সাধারণ মানুষকে কিছুটা রেহাই দিতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪৬৮ সুফল বাংলা স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ বিপণি থাকে বাজারদরের তুলনায় গড়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ক্রেতাদের সুবিধা দিতে লেক মার্কেটের কাছে এবং সল্টলেক-সহ রাজারহাট-নিউ টাউন এলাকায় আরও ১১টি অতিরিক্ত সুফল বাংলা ভ্রাম্যমাণ বিপণি খুলেছে কৃষি বিপণন দফতর। পরিস্থিতির বিচার করে আগামী দিনে বিপণির সংখ্যা আরও বাড়ানোরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-তিস্তায় কি জল আছে, যে দেবে?

প্রবল গরম ও বৃষ্টিপাতের অভাবে শাক-সবজির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারদরে। হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে শাক-সবজির দাম। লাউ-বেগুন থেকে শুরু করে টম্যাটো-লঙ্কা-সহ প্রতিটি সবজিরই দাম প্রায় ১০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ১ কেজি আলুর দাম পৌঁছে গিয়েছে ৩২ টাকায়। টম্যাটোর দাম ঘোরাফেরা করছে প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। লাউ এবং বেগুনের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে যথাক্রমে ৮০ ও ৭০ টাকা। করলা এবং ঢেঁড়সের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ১২৮ শতাংশ ও ১৪০ শতাংশ। এখন সেগুলির দাম প্রতি কেজিতে ৮০ ও ৬০ টাকা। পেঁয়াজের দাম একলাফে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজিতে পৌঁছে গিয়েছে ৪৫ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার দ্বারা গঠিত টাস্ক ফোর্সও বাজারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এবং শীঘ্রই বাজারে হানা দেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, আসন্ন বর্ষার সাথেই এই সমস্যার বেশিরভাগ সমাধান হয়ে যাবে। তাঁর মতে, এখন সুফল বাংলার স্টলে সবজি বিক্রি হচ্ছে। এরপরও আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

Latest article