প্রতিবেদন : রিমেলে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও বিমার টাকা দিতে উদ্যোগী হল নবান্ন। চলতি মাসের মধ্যেই যাতে রিমেল দুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শস্যহানি-সহ অন্যান্য খাতে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে দ্রুত বিমার অর্থ পান সে কারণে রাজ্য সরকারকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। নবান্নের তরফে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে ক্ষতিপূরণের বিমার টাকার বণ্টন ও ব্যবস্থাপনার জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। যে জেলায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি সেখানে জেলাভিত্তিক আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। এরপর সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মুখ্যসচিব মারফত বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠাতে হবে।
আরও পড়ুন-হ্যাট্রিক করেই কাজ নিয়ে ভাবনা শুরু প্রতিমার
ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহজেই ওইসব আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সেজন্য ওয়েবসাইট চালু করতে বলা হয়েছে এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে তা প্রচার করতে বলা হয়েছে। সর্বক্ষণের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিমার টাকা বণ্টন করার জন্য বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতদিন লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জারি থাকায় রিমেল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ বা বিমার টাকা বণ্টন করা যায়নি। তবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সাময়িক ত্রাণ বণ্টন করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কাছে বিশেষ আবেদন জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাময়িক ত্রাণের বন্দোবস্ত করলেও, অর্থ দেওয়া যায়নি। তাই ভোটপর্ব শেষ হতেই, জুন মাসে দুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হল নবান্ন।