নয়াদিল্লি : মণিপুরের পরিস্থিতি চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে যে আইনের শাসন নেই শেষপর্যন্ত সেকথা স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তবে এখানেই শেষ নয়। অবাক করার মতো বিষয় হল, তাঁর রাজ্যে এই মুহূর্তে কী ঘটছে সেটাও তিনি জানেন না বলে কবুল করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-ডাবলস খেতাব সুতীর্থা-ঐহিকার
বীরেন সিংয়ের এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়। জাতিদাঙ্গায় দেড়শো মানুষের মৃত্যু, ৬০ হাজার নাগরিক ঘরছাড়া হওয়ার পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, রাজ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কথায় এটা স্পষ্ট, হয় বীরেন সিং তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন, নয়তো বা প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগই নেই। এরপরেও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে রেখে দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে সকলেই প্রশ্ন তুলেছে। মেইতেই ও কুকি দুই বিবদমান গোষ্ঠী মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ চাইলেও নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাকে সরাতে চান না অমিত শাহ। ফলে রক্তক্ষয়ী হিংসা এখন মণিপুরের রোজনামচা।
আরও পড়ুন-এমসিসিতে ঝুলন
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যে ফিরে সোমবার ইম্ফলে নির্লজ্জ দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পরিস্থিতি খুবই বিশৃঙ্খল। হিংসার পরিবর্তিত প্রকৃতি সরকারের জন্য খুবই উদ্বেগের। তবে এখন ঠিক কী ঘটছে তা আমরা বলতে পারব না।
অন্যদিকে বিদেশ সফর সেরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেই দলের সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে দেশের পরিস্থিতি জানতে চান বলে খবর। বিষয়টি সামনে আসতেই বিরোধীরা মোদি ও শাহকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন-ফিরছেন শামি, দলে হয়তো রিঙ্কু, ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-২০
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকেত গোখেল ট্যুইট করেন, সর্বদলীয় বৈঠকে শাহ বলেছিলেন, মণিপুর পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী দলের সভাপতির কাছে দেশের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইছেন। বিদেশে ছুটি কাটিয়ে কি প্রধানমন্ত্রীর মাথায় আর কিছু নেই? নাকি শাহ বিরোধীদের মিথ্যা কথা বলেছিলেন? অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দাবি করেছেন, মণিপুর সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে মুখ্যমন্ত্রী বীরেনকে সরাতে হবে। না হলে সমস্যা মিটবে না।