প্রতিবেদন : ল্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৪৮ অনুযায়ী স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ থেকে আসা যেসব পরিবারকে সরকার জমি দিয়েছিল, তাঁদের মালিকানা স্বত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, তৎকালীন ২৪ পরগনা ও কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা, পূর্ব পুঁটিয়ারি, রাজাপুর, বারাকপুর, সোদপুর, গোপালনগর, পর্ণশ্রী ও বেদিয়াপাড়া এই ৮ এলাকায় প্লট তৈরি করে বাংলাদেশ থেকে আসা বেশ কিছু উদ্বাস্তু পরিবারকে বাড়ি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল জমি অধিগ্রহণের জন্য সামান্য অর্থের বিনিময়ে।
সেই সময় ২০০ একর জমিতে এরকম আড়াই হাজার প্লট তৈরি করা হয়। ৪ থেকে ৫ কাঠা জমি নিয়ে হয় এক-একটি প্লট। কিন্তু সরকারের প্রাপ্য সামান্য অর্থও অনেক পরিবার দিতে পারেনি। কেউ কেউ কিছু অর্থ দিতে পেরেছিলেন। খুব কম পরিবার পুরো অর্থ দিয়েছিলেন। সেই সব কারণে সেসময় ওই পরিবারগুলোকে জমির মালিকানা স্বত্ব দেওয়া হয়নি। পরবর্তীকালে কলকাতা পুরসভার আওতায় যেসব প্লট পড়ে, সেখানকার অনেক পরিবারই জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান। কোথাও কোথাও আবাসনও গড়ে ওঠে। এই সব আবাসনে যাঁরা ফ্ল্যাট কিনতে চাইছেন, তাঁদের ব্যাঙ্কঋণ পেতে অসুবিধে হচ্ছে বিক্রেতার জমির মালিকানা না থাকায়। রাজ্য সরকারেরও আর্থিক লাভ হচ্ছে না। অন্যদিকে জেলাতেও তৈরি হয়েছে একই সমস্যা।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত বালক, জাতীয় সড়ক অবরোধ
ল্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৪৮ অনুযায়ী জেলায় যাঁরা জমি পেয়েছেন, মালিকানা স্বত্ব না থাকায় তাঁরাও জমি বিক্রি করতে পারছেন না। অনেকে আইন মেনে বাড়ি করতে পারছেন না। তাই ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সময়ের অধিগ্রহণমূল্য অনুযায়ী সুদ-সহ জমির দাম নেওয়া হবে। বিনিময়ে জমির মালিকানা দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে জমির দাম অনুযায়ী কম টাকা পেলেও পরবর্তীকালে করবাবদ সরকারি কোষাগারে ভাল অর্থ আসবে বলে মনে করছে দফতর।