ডেঙ্গি (Dengue) প্রবণ এলাকায় বিনামূল্যে মশারি দিতে উদ্যোগী রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। মোট ২ লক্ষ মশারি কেনার জন্য ৫ কোটি ৫৬ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ১৩ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকা, বস্তি-সহ ডেঙ্গি (Dengue) প্রবণ এলকাগুলিতে সংক্রমণের হার কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
শনিবার রাতে পুর দফতরের পক্ষে রাজ্যের সব পুরসভা এবং পুরনিগমকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাজিতে ব্যবহৃত মাটির খোল দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় পড়ে থাকলে ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই মাটির খোলে জল জমলে তাতে মশার লার্ভা জন্মাবে।
আরও পড়ুন- চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক
দ্রুততার সঙ্গে শহর থেকে বাজির যাবতীয় বর্জ্য অবিলম্বে সরাতে হবে। এর মধ্যে কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারণ, রাজ্যের মধ্যে কলকাতাতেই বাজি ফাটানোর বহর সবচেয়ে বেশি। বাজির খোল জলের সঙ্গে সহজে মেশে না। নিকাশির মুখে আটকে থেকে যায়। এমনিতেই কলকাতায় জল জমার সমস্যা বেশি। তাই এই বর্জ্যগুলি তাড়াতাড়ি সরানো প্রয়োজন বলে পরিবেশবিদদের দাবি।
কলকাতায় মূলত কসবা, বেলেঘাটা, নিউ আলিপুর, ভবানীপুর, বেহালা, যাদবপুর, কালীঘাট, বালিগঞ্জ এবং ভবানীপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ। আবার, বিধাননগর পুরনিগম এলাকার মধ্যে মূলত সল্টলেকের এফডি, বিডি, একে, এজে, চিনার পার্ক, বাঙুর, লেকটাউন, কালিন্দীতে বাজি ফেটেছে সবচেয়ে বেশি।