বৃষ্টি এবং ভুটান পাহাড় বেয়ে জল নেমে প্লাবিত উত্তরের একাধিক এলাকা। বিপর্যস্ত জনজীবন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উত্তরের বাসিন্দাদের স্বস্তি দিতেই কোমর বেধে নেমে পড়েছে প্রশাসন। প্রবস স্রোতে কোথাও রাস্তা ভেঙেছে, কোথাও আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সেতু। এই পরিস্থিতিতিতে সোমবার দুপুরেই উত্তরবঙ্গ পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (cm mamata banerjee)। সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, ডিজিপি রাজীব কুমার।
উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী (cm mamata banerjee) প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরাকাটা কালীখোলা ব্রিজটিও। এটিও পরিদর্শন করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কোথায়, কন ব্রিজ তৈরি হচ্ছে, কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- পুবংয়ে ধস, মৃত এক, ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি গাড়ি
বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান,”আগামী দু, একদিনের মধ্যে আবার জোয়ার আসতে পারে। সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রাস্তার ধারে সরকারের তরফে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। যাঁরা এসেছেন, তাঁরা ভালো করেছেন। যাঁরা এখনও নিজের বাড়ি আঁকড়ে রয়েছেন, আপনারা দ্রুত এখানে চলে আসুন। নিরাপদে থাকবেন। খাওয়াদাওয়া নিয়ে ভাবতে হবে না।” প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শনের পর ভাঙা রাস্তা দেখে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার তা মেরামতের দায়িত্ব নিচ্ছে। এছাড়া যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, সেসব বাড়িও তৈরি করে দেবে সরকার।
এদিকে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি মিরিক যাওয়ার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন। সুখিয়া, ঘুম বা কার্শিয়ংয়ে ঘুরপথে যেতে হবে। এহেন পরিস্থিতিতে আগামিকাল, মঙ্গলবারই মিরিক যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, আগামী দু’দিন তিনি উত্তরবঙ্গে থাকবেন।
উত্তরে বৃষ্টি-ধসের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩ জন। মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।