চুরি করা ‘খুকি মা’ বদলে দিয়েছিল দয়ালের জীবন

নবাবি কেল্লার পরিত্যক্ত জমিতে স্থাপিত হয় বজবজ তেল বন্দর। সেখানেই বীরভূম নিবাসী দয়াল শংকর ঘোষ আসেন কর্মী হিসেবে।

Must read

সংবাদদাতা, বজবজ : নবাবি কেল্লার পরিত্যক্ত জমিতে স্থাপিত হয় বজবজ তেল বন্দর। সেখানেই বীরভূম নিবাসী দয়াল শংকর ঘোষ আসেন কর্মী হিসেবে। মা কালী একনিষ্ঠ সাধক দয়াল শঙ্কর নিজের ঘরেই কালীর আরাধনা করতেন। এরপর দিন যেতে যেতে আরও গভীর সাধনায় ব্রত হলেন তিনি। নির্জন শ্মশানের পাশে হোগলা বনে পাতা দিয়ে তৈরি করলেন কুটির। সেখানেই মা কালীর আরাধনা করতেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয় এক বাসিন্দা অধর দাস দয়ালের ভক্ত হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ভক্তদের সমাগম। এর মধ্যেই দয়াল ঠাকুরের গুরু পূর্ণানন্দ একটি পাথরের মূর্তি দেন তাঁকে। দয়াল অযোধ্যা থেকে বলভদ্র নামে এক পুজারীকে নিয়ে এসে শুরু করেন নিত্য পূজা। এই কালীমন্দিরই এখন খুকি কালীবাড়ি নামে পরিচিত। ১৮৯২-৯৩ সালে বজবজে এভাবেই হাজির হয়েছিলেন ‘খুকিমা’। ধীরে ধীরে সেখান থেকেই গড়ে উঠেছে বজবজ কালীবাড়ি।

আরও পড়ুন-কৃত্রিম আলোর যুগেও আজও টিকে আছে মাটির প্রদীপ

জানা যায়, মূর্তিটি ডাকাতি করে আনা হয়েছিল সুদূর বর্ধমান রাজবাড়ি সংলগ্ন এক মন্দির থেকেই। সেখানেই এই মূর্তির পুজো করতেন কালীসাধক কমলাকান্ত। একটু অন্য এই বিগ্রহ। পায়ের তলায় নেই শিব। কথিত আছে, কমলাকান্ত শায়িত অবস্থায় নিজের বুকের ওপর এই মূর্তি রেখেই আরাধনা করতেন দেবীর। কালী পুজোয় এখানে বিশাল মেলা বসে। সারা দেশ থেকে মানুষ আসেন বজবজ কালীবাড়িতে পুজো দিতে।

Latest article