সুমন করাতি, হুগলি: সিঙ্গুর থানার (Singur Police Station) অস্থায়ী পুলিশকর্মী বুল্টি রায় (Bulti Roy) মানেই লড়াই ও উন্নতির অন্য নাম। তারকেশ্বর পুরসভার ১০নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণ বাজার এলাকায় বাড়ি হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অস্থায়ী মহিলা পুলিশকর্মী বুল্টির। সম্প্রতি সল্টলেকে অনুষ্ঠিত মাস্টার অ্যাথলেটিক অফ ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার পাঁচ-পাঁচটি বিভাগে সেরা হিসাবে ৫টি সোনার পদক অর্জন করে সারা দেশের মানুষকেই বলতে গেলে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ৬ বছর বয়স থেকেই অ্যাথলেটিক্স তাঁর ধ্যানজ্ঞান। সেই থেকেই অব্যাহত তাঁর স্বপ্নকে হাতিয়ার করে এগিয়ে চলার কাজ। খেতমজুরের পরিবার থেকে উঠে আসা বুল্টি ২ সন্তানের মা। হাওড়া-তারকেশ্বর রেলপথের এক হকারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সম্প্রতি সিঙ্গুর থানায় চুক্তিভিত্তিক হোমগার্ড হিসেবে কাজ পেয়েছেন। বুল্টির (Bulti Roy) এই সাফল্যে তাঁর কর্মস্থল সিঙ্গুর থানা গৌরবান্বিত। সহকর্মী বুল্টির আগামী দিনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সিঙ্গুর থানার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো-সহ আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল। দিনমজুর স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ছোট্ট প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া জীর্ণ বাড়িতে বহু কষ্টেসৃষ্টে বাস বুল্টির। ওই বাড়িতেই রয়েছে অগুনতি পদক ও মানপত্র। সংসার ও পুলিশের চাকরি সামলে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বুল্টি সেগুলিকে পাথেয় করেই। টাকার অভাবে পুষ্টিকর খাবার জোটে না। ২০২২ সালে নাসিকে দ্বিতীয় জাতীয় ভেটারেন্স স্পোর্টস অ্যান্ড গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে ৫টি বিভাগে সোনা এবং যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিযোগিতা থেকে সোনা অর্জন করেন বুল্টি। তাঁর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, এশিয়ান গেমস ও ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিকে ভারতীয় দলের হয়ে সোনাজয়। এবার সেই লক্ষ্যে দৌড় শুরু করবেন বুল্টি।
আরও পড়ুন: আশ্রমিকদের অর্ধশিক্ষিত বলায় উপাচার্যের কড়া সমালোচনা