রেলের কেরানি থেকে অ্যাকশন হিরো ধর্মেন্দ্র

Must read

মুম্বই: সংসার চালাতে রেলের কেরানির চাকরি করতে হয়েছিল তাঁকে। বলিউডে পা রেখেও ব্যাপক আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে (Dharmendra Deol)। একবার ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়ে তাঁকে অপমান থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন শশীকাপুর। নতুন জামাকাপড় কিনে দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাইয়েছিলেন মনোজ কুমার। সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র শুধুমাত্র ইচ্ছাশক্তির জোরে।

আরও পড়ুন-ঘরছাড়াদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ নিরাপত্তা বাহিনীর

অ্যাকশনের দৃশ্যে ঘুসি পাকাতে যতটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন, রোমান্টিক নাচের দৃশ্যে কিন্তু ততটা সাবলীল ছিলেন না ধর্মেন্দ্র (Dharmendra Deol)। তবে রোমান্সকে নিখুঁতভাবে কেমন করে রঙিন পর্দায় উপস্থাপনা করতে হয়, ৮৭ বছর বয়সেও দেখিয়ে দিয়ে গেলেন সেই পথ। সেই কারণেই বলিউডের বেতাজ বাদশা না হয়েও তিনি বিশেষ মাত্রা দিয়েছিলেন হিন্দি ফিল্মের দুনিয়াকে। শোলের সাড়া জাগানো ‘বীরু’ জীবন সায়াহ্নে ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন হুইলচেয়ারে বন্দি এক বৃদ্ধের ভূমিকায়। যাঁর স্মৃতিশক্তিকে কুড়ে কুড়ে খেয়ে নিয়েছিল অ্যামনেশিয়া। কিন্তু শেষে তাঁর হারিয়ে যাওয়া ‘যামিণী’রূপী শাবানা আজমির কণ্ঠে গানের কলি ‘—অভি না যাও ছোড় কর/ কে দিল অভি ভরা নহি’ শুনে যুগ যুগ ধরে জমিয়ে রাখা প্রেম-হাসি-অশ্রুর অভিব্যক্তিকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন কমলরূপী ধর্মেন্দ্র, তাতে প্রমাণিত হয়েছিল প্রতিভা কখনও হারিয়ে যায় না। যেতে পারে না। আসলে তাঁর অনন্য অভিনয় প্রতিভাকে তিনি বারবার ভেঙে গড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। একদিকে তিনি অ্যাকশন হিরো, অন্যদিকে রোমান্টিক নায়ক। চিরচরিত বোম্বাই ফরমুলাকে মেনে চলতে চাননি তিনি।

Latest article