মানস দাস, মালদহ: সাদামাটা দোকান। ঝুড়িতে রাখা নানারকমের মাছ। আর পাঁচটা দোকানির মতোই— ‘টাটকা মাছ’, ‘ভাল মাছ’ হাঁকছেন জয়দেব হালদার (Joydeb Halder)। মালদহের হবিবপুর বাজারের বুলবুলচণ্ডী বাজারে। তাঁর দোকানে দাঁড়িয়ে চমক লাগল এক কলেজ পড়ুয়ার আবেদনে। বললেন, আমার শংসাপত্রটা কি আজ পাওয়া যাবে? পাল্লায় মাছ তুলতে তুলতে জয়দেব বললেন, একটু দাঁড়াও দিচ্ছি। পাল্লা থেকে মাছ নামিয়ে হাত ধুয়ে একটি ব্যাগের মধ্যে থাকা ওই পড়ুয়ার প্রয়োজনীয় শংসাপত্র বের করে সই করে হাতে দিলেন।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের পাকমুখী ভিসানীতি বাড়াচ্ছে জঙ্গি উপদ্রবের আশঙ্কা
উপস্থিত সকলেই হাঁ করে তাকিয়ে তখন দু’জনের দিকে। ঘোর কাটল খানিক পর। বাকিদের অবস্থা বুঝে মাছ বিক্রেতা জয়দেব হালদার (Joydeb Halder) হেসে বলেন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়া আমার প্রধান কাজ। আমি তো পঞ্চায়েত সদস্য। আমার তো একটা দায়িত্ব আছে। জয়দেব বলে চলেন, যাঁরা এই বাজারে নিয়মিত আসেন, তাঁদের পঞ্চায়েতের যে কোনও প্রয়োজনের কাগজ আমি নিয়েই আসি। মানুষের যেন কোনও সমস্যা না হয়, তাই সঙ্গে সঙ্গেই দিয়ে দিই। এভাবেই নিজের পেশা ও পঞ্চায়েতের পরিষেবা একইসঙ্গে সামলাচ্ছেন জয়দেববাবু। (প্রথম পাতার পর)গোটা গ্রামের মানুষ এই পঞ্চায়েত সদস্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুধু দলীয় কর্মীরাই নন, বিরোধীরাও এই পঞ্চায়েত সদস্যের প্রশংসা করছেন। পেশা আর পরিষেবা একসঙ্গে কীভাবে সামলান? মাছের আঁশ ছাড়াতে ছাড়াতে জয়দেববাবুর জবাব, পেশা তো আমার সংসার চালানোর জন্য। আর পরিষেবা গোটা গ্রামের মানুষের জন্য। তাঁদের ভরসায় আমি গুরুদায়িত্ব পেয়েছি। গ্রামের মানুষের পরিষেবা দেওয়া আমার কর্তব্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই এগিয়ে যাওয়া। এভাবেই বাকি পথ চলব। তৃপ্তির হাসি মুখ জুড়ে।