নারীগর্ভ থেকে বেরিয়ে এক সন্তান কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ঘোষণা করে নারী নরকের দ্বার। আর সেই কথার বিরুদ্ধে প্রথম শব্দবাণ যখন ধেয়ে এল আর এক সন্তানের কাছ থেকে তখন হাজার বছর পেরিয়ে গিয়েছে। নারী ততদিনে পুরুষ-নির্ভর এক পরগাছায় পরিণত হয়েছে। তিনি প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁর গর্জে ওঠা কলমের ধারে— নরকের দ্বার বলি তোমাকে করে হীন জ্ঞান?/ তারে কহ আদি পাপ নয় নারী— সে যে নর শয়তান।
শুধু একটা কবিতায় নয় বিদ্রোহীর কলম বারবার বিদ্রোহ করেছে সাম্যের দাবিতে। বারাঙ্গনা কবিতায় তাঁর শাণিত তরবারিপ্রতিম কলম জানতে নয় জানাতে চায় সমাজের ভালমন্দের ঠিকা নেওয়া মাথাদের, অসতী মাতার পুত্র যদি জারজ আখ্যা পায় তাহলে অসৎ পিতার সন্তানেরও জারজ আখ্যা সুনিশ্চিত। কবি তুলে এনেছেন অজস্র উপমা, যেখানে নারীর নারীত্ব কখনওই আপস করেনি তার পেশার কাছে। পেশার ক্ষেত্রে বহু পুরুষের সঙ্গ দেওয়া বারাঙ্গনা তকমা পায় অসতী, কিন্তু কবির চোখে সেই অসতী নারী মাতা কিংবা ভগিনী পর্যায়ের। নিজের বা পরিবার পালনে কিংবা বাধ্য হয়ে নারী যখন প্রকাশ্যে ঘৃণ্য কিন্তু গোপনে বন্দিত এ পেশা নিতে বাধ্য হয় তখন সে হয় অসতী কিন্তু পরিবারকে লুকিয়ে, পয়সার জোরে পুরুষ যখন তার কাছে যায় সেটা সমাজের চোখে পৌরুষের ধ্বজা ওড়ানো, ক্ষমতার দম্ভ। বিদ্রোহী কবি এখানে বারবার চোখে কলম খুঁচিয়ে দেখিয়েছেন কীভাবে তিনিই পারেন সমাজকে তুড়ি মেরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে। তাই তো স্রোতের বিপরীতে পথ ধরে তিনি বিদ্রোহী। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)।
ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে কবির (Kazi Nazrul Islam) আগমন। বিংশ শতকের প্রবেশদ্বার আগলে তখন এক সর্বব্যাপী রেনেসাঁ। শতাব্দী পূর্বে এক রাম চিতা থেকে তুলে আনলেন অসহায় নারীকে, তারপর সাগরের বিশালতায় নারী ততদিনে পেয়েছে নতুন করে বাঁচার ঠিকানা। এর পর বাকি থাকে গণচেতনার উন্মেষ। আর সেই চেতনা আসে যে সাহিত্যিকের কলমে তাকে তো বিদ্রোহী বলাই যায়। মুক্তির সেই আলোর দরজা খোলার সময় নজরুলের কলমের ধাক্কাও বেশ জোরেই হয়েছিল।
নজরুল সাহিত্যে নারী কবিতাটি ছিল সেই গোঁড়ামি-যুগে এক বিশাল চপেটাঘাত। আলোড়ন তুলেছিল কবিতার শব্দবাণ।
‘সাম্যের গান গাই—
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা কিছু এল পাপ তাপ বেদনা অশ্রুবারি,
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর অর্ধেক তার নারী।
নরককুণ্ড বলিয়া তোমা’ করে নারী হেয় জ্ঞান?
তারে বল, আদি-পাপ নারী নহে, সে যে নর শয়তান।
অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তাই নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।”
যে-যুগে মাত্র একশো বছর আগেও জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হত মেয়েদের, সে-যুগে দাঁড়িয়ে কবির এই নারীবন্দনা রীতিমতো বিপ্লব বলা যায়।
কাজী নজরুল ইসলামের (Kazi Nazrul Islam) মনের বাগিচায় বাস করে এক নিভৃত প্রেমিক। সে তার প্রিয়াকে রানি করে রাখবে ভালবাসায়। হীরে মুক্তোর গয়না নয়, খোঁপায় তারার ফুল দিয়ে সাজাবেন কবি তাঁকে। প্রেমিক কবি এরপর প্রিয়াকে শোনাবেন গান। কী দারুণ এক রোমান্টিক মুহূর্ত তৈরি হবে, এক নারী প্রকৃতির সাজে সেজে যাচ্ছে এমন প্রিয় অভিসারে যেখানে নেই আশু দেহমিলনের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা। তৈরি হচ্ছে এক স্বর্গীয় মেহফিল, যার কেন্দ্রে আছে এক কবি কল্পনা, তাঁকে ঘিরে সুরমূর্ছনায় কবির কবিতার বুলবুল। কবির কলমে শব্দ পেল প্রাণ, লেখা হল নতুন গান… ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেবো খোঁপায় তারার ফুল।’
নারী শুধু প্রিয়া নয়, নারী তার পূর্ণ রূপে বিকশিত হয় মাতৃরূপে। যেখানে দেখি যাহা/ মায়ের মতন আহা/ একটি কথায় সুধা মেশা… সেই এক অক্ষর ডাক মায়ের মতো আর আনন্দ আর কিছুতে নেই। কবি মাকে দেখেছেন এমন এক অভিনব দৃষ্টিকোণ থেকে— মায়ের কাছে সন্তানের সব দুঃখ সুখে পরিণত হয়ে যায়। মাকে নিয়ে সকলের অপরিমিত ভালবাসা, আবেগ। কারও কলমের ভাষায় ব্যক্ত হয়, কারও মনে থাকে অব্যক্ত। কিন্তু একটি মাত্র বাক্যবন্ধে মা ধরা পড়েন পূর্ণভাবে— সব দুঃখ সুখ হয় মায়ের আশীষে। মা কবিতায় কবি লিখলেন মাতৃবন্দনার পাঁচালি।
কবি মন কখনও গোপনে কাঁদে মায়ের বঞ্চনায়, নারীত্বের অবমাননায়। নারী শুধু জোগান দিয়ে যায়, পুরুষের ক্ষুধা মেটায় নানাভাবে কিন্তু বঞ্চিত থেকে যায় তার অধিকার থেকে— সর্বসহা কন্যা মোর সর্বহারা মাতা / শূন্য নাহি রহে কভু মাতা ও বিধাতা।
আরও পড়ুন- আজ ষষ্ঠপর্বে ভোট ৮ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৮ আসনে, নজর কাড়ছে দিল্লি-হরিয়ানা
কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam) তাঁর কবিতায় শুধু নারী বা মাতৃভক্তির বর্ণনা দিয়েই সম্পন্ন করেননি বরং কালের অভিরুচি শিল্পীসত্তাকে বরাবরই বিকশিত করেন প্রকৃতির নির্যাসে। মাতৃসমা কিছু নারীর অপরিসীম প্রভাব, তাদের স্নেহ, অপত্য শাসন আর বুকে আগলে রাখার মাতৃত্ব বোধই কবিকে পথের নির্দেশ দিয়েছে— তোমার মমতা-মানিক আলোকে চিনিনু তোমারে মাতা/ তুমি লাঞ্চিতা বিশ্ব-জননী! তোমার আঁচল পাতা / নিখিল দুঃখী নিপীড়িত তবে/ বিষ শুধু তোমা দহে যথা তব মাগো পীড়িত নিখিল ধরণীর ভার বহে।
যিনি মাকে এত ভেবেছেন সেই কবি নানাভাবে কলমে এবং জীবনেও করেছেন বিদ্রোহ। একসময় মাকে ফিরিয়েছেন বলেই হয়তো মায়ের চোখের জলের ধারায় নেমে এসেছিল নির্বাকতার অভিশাপ?
মাতৃভক্তির ক্ষেত্রে যেমন কবি আকুল হয়ে ওঠেন, তেমনি প্রেয়সীকে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে
ওঠেন। প্রিয়তমা প্রেয়সীর জন্য হৃদয় তাঁর হাহাকার করে উঠলেও এ-সম্পর্কে বিরূপ অনুভূতি ও মনকে তাড়িত করে— বারে বারে মোর জীবন প্রদীপ নিভিয়া গিয়াছে প্রিয়া/ আমি মরিয়াছি, মরেনি নয়ন, দেখ প্রিয়তমা চাহি।
কবির ভিতরের যে মানব সত্তা তা কারও জন্য অপেক্ষমাণ। মনের সে আকুতি গভীর ভাব রসে প্রকাশ করেছেন কবিতায়। অপেক্ষমাণ প্রিয়ার জন্য কবির ব্যাকুলতা— প্রিয়া রূপ ধরে এতদিনে এলে আমার কবিতা তুমি, আঁখির পলকে মরুভূমি যেন হয়ে গেল বনভূমি/ ফুল কেন এত ভালো লাগে তব, কারণ জান কি তার/ ওরা যে আমার কোটি জনমের ছিন্ন অশ্রু হার।
কল্পনাবিলাসী কবি নারীর চুলের সৌন্দর্যে বিভোর হয়ে মনের গোপন ইচ্ছা কাব্যিক ভাবরসে প্রকাশ করেছেন— সেই এলোকেশে বক্ষে জড়ায়ে গোপনে যেতাম চুমি/ তোমার কেশের সুরভি লইয়া দিয়াছি ফুলের বুকে/আঁচল ছুঁইয়া মূর্ছিত হয়ে পড়েছি পরম সুখে।
নজরুলের (Kazi Nazrul Islam) কবিতা ও গানে রয়েছে নারী জাগরণের বার্তা। নজরুলের নারী জাগরণের গান বাংলা সাহিত্যে ও সংগীতের অমূল্য সম্পদ। একইভাবে জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা কবিতার কথাগুলি সমকালীন এবং প্রাসঙ্গিক— সেদিন সুদূর নয়/ যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়। ডাক দিয়েছেন নারীশক্তির জাগরণে— জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা/ জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টিকা/ দিকে দিকে মেলি তব লেলিহান রসনা/ নেচে চল উন্মাদিনী দিগ্বসনা/ জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী/ বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা/ ধূ ধূ জ্ব’লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি/ জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী/ পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা/ জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা/ মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালাচির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা।
আজ পর্যন্ত যেখানে যত নারীমুক্তি আন্দোলন হয়েছে তার পুরোভাগে থেকেছেন কোনও না কোনও সমাজ সংস্কারক পুরুষ। কবি-সাহিত্যিকরা কিছু কাব্যে, উপন্যাসে বীরাঙ্গনা নায়িকা সৃষ্টি করে দায় এড়িয়েছেন। কোনও প্রখ্যাত সাহিত্যিক আবার নায়িকাকে পুরুষের সাথে সমানতালে চলানোর পর উপন্যাস শেষে পুকুরঘাটে ঘোমটা টেনে বাসন মাজার মধ্যে দিয়ে দেখিয়েছেন এটাই মেয়ে জীবনের মোক্ষলাভ। একদা পুরুষের সাথে সমান্তরাল ভাবে পথ চলা নারীকে কোনও দেবতাপ্রতিম সাহিত্যিক আখ্যা দিয়েছেন— মেয়েদের বুদ্ধি কলমকাটা ছুরির মতো। ঠিক এখানেই নজরুল আলাদা। তিনি মেয়েদের শুধুমাত্র মুক্ত করতে হবে, সম মর্যাদা দিতে হবে জাতীয় ক্লিশে স্লোগান দিয়ে থেমে যাননি, তিনি মেয়েদের মুক্তির দিশা দেখিয়েছেন সহজ পথে— মাথার ঘোমটা ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙে ফেল ও—শিকল/ যে ঘোমটা তোমা’ করিয়াছে ভীরু, ওড়াও সে আবরণ/ দূর ক’রে দাও দাসীর চিহ্ন, যেথা যত আভরণ।
যুগে যুগে নারীর পিছিয়ে পড়া, বন্দিদশা কবিকে করেছিল আহত। কবি বুঝেছিলেন পুরুষের অবরোধ আরোপের পথকে সুগম করেছে নারীর অশিক্ষা। সমকালীন মুসলিম নারী সমাজের বেদনা ও বিড়ম্বনা নজরুল মনেপ্রাণে উপলব্ধি করেছিলেন। নারীকে অবরুদ্ধ করে তাদের যেভাবে হীনমন্যতার গহ্বরে নিক্ষেপ করা হচ্ছে সেখানে অন্ধকার সহজেই বিস্তার লাভ করে থাকে। নজরুল নারী শিক্ষার গুরুত্ব যর্থাথভাবে বুঝতে পেরে তরুণের সাধনা গ্রন্থে লিখেছেন— ‘কন্যাকে পুত্রের মতই শিক্ষা দেওয়া যে আমাদের ধর্মের আদেশ তাহা মনেও করিতে পারি না। আমাদের কন্যা জায়া জননীদের শুধু অবরোধের অন্ধকারে রাখিয়াই ক্ষান্ত হই নাই, অশিক্ষার গভীরতর কূপে ফেলিয়া হতভাগিনীদের চিরবন্দিনী করিয়া রাখিয়াছি। আমাদের শত শত বর্ষের এই অত্যাচারে ইহাদের দেহ মন এমনি পঙ্গু হইয়া গিয়াছে যে, ছাড়িয়া দিলে ইহারাই সর্বপ্রথমে বাহিরে আসিতে আপত্তি করিবে। ইহাদের কীসে দুঃখ কীসের যে অভাব তাহা চিন্তা করিবার শক্তি পর্যন্ত ইহাদের উঠিয়া গিয়াছে।’ তাই এটা স্পষ্ট যে নজরুল আন্তরিকভাবেই সমাজে নারীর হারানো মর্যদা পুনঃ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারীর অবরোধ প্রথার বিলোপ এবং তাদেরকে শিক্ষার আলোকে আলোকিত করার পক্ষে ছিলেন। কবির দেখানো পথে নারী সমাজের মুক্তির লক্ষ্যে যাঁরা শুরু করেছিলেন এক নিরলস প্রচেষ্টা তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বেগম রোকেয়া। তার পরের অংশটা এক অন্যরকম ইতিহাস।
নজরুলের সাহিত্যে নারী এসেছে নানা ভাবে। কখনও একাক্ষরে সুধাময়ী মা, কখনও প্রিয়া, কখনও সর্বহারা বধূ। সবার উপরে নজরুল সাহিত্যে যে নারীর কথা বেশি চোখে পড়ে তিনি মানবী নন, তিনি আদ্যাশক্তি জগৎকারণ। মা কালীকে নিয়ে নজরুলের সাধনা ধর্মের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। দুশো শ্যামাসঙ্গীত রচনা যিনি করতে পারেন তিনি তো সাধক ছাড়া আর কিছু নন। উদাহরণের তালিকা দীর্ঘ। ‘আদরিণী মোর কালো মেয়েরে কেমনে কোথায় রাখি’ বা ‘কালো মেয়ের পায়ের তলায়, দেখে যা আলোর নাচন’। বিশেষ করে কালো মেয়ের পায়ের তলায় গানটির শেষ কটি লাইনে শ্যামা মায়ের কন্যারূপটিই প্রকট হয়ে ওঠে। এছাড়া আত্মনিবেদনের উদাহরণ পাওয়া যায় ‘শ্যামা নামের লাগলো আগুন, আমার দেহ ধূপকাঠিতে’ গানটিতে। গানের একদম শেষাংশে আমরা শুনতে পাই, ‘সব কিছু মোর পুড়ে কবে চিরতরে ভস্ম হবে, মার ললাটে আঁকব তিলক, সেই ভস্ম বিভূতিতে’। জগৎকারণ কালী মানুষের সাধনায় মাতৃরূপে ধরা দিচ্ছেন যখন, তখন তিনি নারী নিশ্চয়ই।
নজরুলের কলমে— ‘আমার চিন্তায় বেদান্তদর্শনের প্রভাব রয়েছে। বেদান্ত বলেন, জীবমাত্রেই ব্রহ্ম। মানুষ যখন নিজেকে ব্রহ্ম বলে জানতে পারে, তখনই সে মুক্ত হয়ে যায়।’ এই মুক্তিই ছিল তাঁর অভীষ্ট। এই মুক্তিই ছিল তাঁর পথ। হিন্দু-মুসলমান বা নারী-পুরুষ কোনও বিভেদের ঘেরাটোপকেই মানতে চাননি তিনি। নজরুল আমাদের রক্তের ভিতরে মিশে রয়েছেন এক আলোর ফুলকি হয়ে। রাজবন্দির জবানবন্দি’র এক অংশে সদ্য তরুণ নজরুল জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘রাজার বাণী বুদ্বুদ্, আমার বাণী সীমাহারা সমুদ্র।’ সেই সমুদ্র নারীর চেতনায় জেগে থাকুক অনন্ত কাল।