প্রতিবেদন : এও এক নক্ষত্র পতন। তবে প্রেম ও ভালবাসার টানে। তবে বোম্বাগড়ের রানির থেকে চাইলেই কি আর সহজে চোখ ফেরানো যায়! তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে দিতে কখন যে নিজেদের জীবনের স্লোগানই বদলে গিয়েছে নিজেরাও টের পাননি। যখন পেলেন তখন নক্ষত্র আর রিমিতা, দু’জনেই সমার্থক হয়ে গিয়েছেন। এ হল দলের মিল থেকে মনের মিল। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন দুই ভালবাসার মানুষ। তবে যোগসূত্র কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সেখানেই দিনভর প্রচার করা, গলা ফাটানো, ট্যুইট করা। উল্টোদিকের রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াইয়ে একজোট হয়ে কোমর বেঁধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের ধ্বজা তুলে ধরা। দু’জনেরই ধ্যান-জ্ঞান ছিল এটাই। এই করতে করতেই একে অপরের জীবনের গভীরে ঢুকে পড়া। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর বুধবার কুদঘাট থেকে কোলাঘাট, হল সেই বহু প্রতীক্ষিত সেতুবন্ধন। সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নক্ষত্র মুখোপাধ্যায় (Nakshatra Mukherjee) ও গৃহশিক্ষক রিমিতা মিত্র। মাঝে অবশ্যই রয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বোম্বাগড়ের রাজা আর বোম্বাগড়ের রানির (সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নামেই দু’জনের অ্যাকাউন্ট) এই শুভ পরিণয়ে তাঁর অবদানও কোনও অংশে কম নয়। দলের আইটি সেলের প্রধানের কথায়, শুধু অগ্নিসাক্ষী নয়, আদর্শকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করল ওরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ভালবাসা, এবং সেই থেকে তাঁর হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ময়দানে যুদ্ধ করা এদের দু’জনের কাছেই নেশা ছিল। দলনেত্রীও খবরটা পেয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, তাঁর তরফ থেকে ওদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিতে।
আরও পড়ুন- বিশ্বের ‘আইকনিক’ জায়গা হতে চলেছে জগন্নাথধাম : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দু’জনেরই পরিচয় দলের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার করতে গিয়ে। প্রথমদিকে ওই যা হয় টুকটাক হাই- হ্যালো। পড়ে কোভিডের সময় একটু একটু করে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ফোনে রিমি আর নক্ষত্র (Nakshatra Mukherjee) জানালেন, প্রথম দেখা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোলাঘাটের একটি সভায় ২০২২ সালে। তবে ২০২০ সাল থেকেই দু’জনের পরিচয়। মনের তার এক সুরেই ছিল, তাই যখন নক্ষত্র রিমিতাকে বলেন, চলো এবার ঘর বাঁধা যাক। না করেননি রিমিতাও। কারণ ততদিনে তিনিও মনে মনে নক্ষত্রের টানে এগিয়ে গিয়েছেন লক্ষ যোজন পথ। ফলে ফোনে দেওয়া ঘর বাঁধার প্রস্তাবে না বলার কোনও কারণ ছিল না। অবশেষে চার হাত এক হল। ১৩ তারিখ বউভাত। দু’জনেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আশীর্বাদ চেয়েছেন। এই পর্ব মিটলে ফের সোশ্যাল মিডিয়াতে দলের হয়ে প্রচার শুরু করবেন আরও জোরদার ভাবে। এবার আর দূর থেকে নয়, একসঙ্গে শলা-পরামর্শ করে বিরোধী দলকে কুপোকাত করবেন বোম্বাগড়ের রাজা ও রানি।